স্টক মার্কেট আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারে, অন্যদিকে মার্কিন ডলারের পতন ঘটবে (EUR/USD এবং EUR/JPY-এর স্থানীয় বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা রাখুন)

চলতি সপ্তাহে মার্কিন স্টক মার্কেটের র্যালি অব্যাহত আছে, বিশেষ করে বিশ্বের অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের উপর চাপ বাড়ছে। মনে হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিত যে ইক্যুইটি ইতোমধ্যেই নীচে নেমে গেছে, তাই অদূর ভবিষ্যতে বৃদ্ধি হবে এই আশায় ক্রয় করা শুরু করেছে। এটি ইউরোপীয় অঞ্চলের সর্বশেষ ভোক্তা মূল্য সূচক বা সিপিআই প্রতিবেদন সত্ত্বেও ঘটেছে, যেখানে বার্ষিক ভিত্তিতে 8.1% থেকে 8.6% পর্যন্ত বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, সেইসাথে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার মধ্যে পড়বে বলে ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে। গতকালের ডাও সূচকের প্রায় 755 পয়েন্টের শক্তিশালী পুনরুদ্ধারও এই ইঙ্গিত দেয় যে প্রতিবেদন প্রকাশের মৌসুমে ইতিবাচক তথ্যের কারণে বাজার সামগ্রিক পরিস্থিতির পুনর্মূল্যায়ন করছে।

আগেই বলা হয়েছে, বাজারে স্টকের চাহিদা বাড়লেই মার্কিন ডলারের দাম কমে যায়। এটি বিস্ময়কর নয় কারণ ফরেক্স মার্কেটের সাথে স্টক মার্কেট এবং সরকারী ঋণের শক্তিশালী সংযোগ রয়েছে। কিন্তু এগুলো নিশ্চিত করে না যে স্টক সূচকে ভবিষ্যতেও র্যালি চলমান থাকবে, এবং মার্কিন ডলারের পতন হতে থাকবে। ভবিষ্যদ্বাণী করার সময় এখনও আসেনি কারণ ফেড এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলো আরও বেশি করে সুদের হার বাড়াতে পারে এবং ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতির চাপ বাড়তে পারে৷ সর্বোপরি, অত্যধিক মূল্যস্ফীতি এবং অত্যধিক উচ্চ সুদের হার স্ট্যাগফ্লেশন বা স্থবিরতার দিকে পরিচালিত করবে, যা অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক।

আজকের পূর্বাভাস:

EUR/USD

এই পেয়ার এখন 1.0250-এর নীচে ট্রেডিং করছে। যদি র্যালি চলমান থাকে, তাহলে এই পেয়ারের মূল্য 1.0365-এর স্তরে উঠবে।

EUR/JPY

এই পেয়ার 141.70-এর রেজিস্ট্যান্স স্তরের কাছাকাছি পৌঁছেছে। যদি র্যালি চলমান থাকে, তাহল এই পেয়ারের মূল্য 142.75-এর দিকে যাবে।

সুদের হার বৃদ্ধি সংক্রান্ত ইসিবি-এর সিদ্ধান্ত এই পেয়ারের ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে, বিশেষ করে যেহেতু ব্যাংক অফ জাপান এখনও পর্যন্ত এই ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থেকেছে, যা স্পষ্টতই ইয়েনের জন্য ইতিবাচক নয়৷