GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১৭ জানুয়ারী। নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট দেখা গেছে। দিনের শেষে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2611-এর লেভেলে কাছাকাছি ছিল, তাই এখন এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেলটি অতিক্রম করতে পারে কি না তার উপর ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের আরও মুভমেন্ট নির্ভর করবে। মনে করে দেখুন যে গত তিন সপ্তাহ ধরে, এই পেয়ারের মূল্য একটি সাইডওয়েজ চ্যানেলে রয়েছে, যার নিম্ন সীমানা 1.2611 লেভেলের কাছাকাছি অবস্থিত। অতএব, এই সাপোর্ট লেভেল থেকে মূল্যের রিবাউন্ড এবং একটি সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের একটি উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে।

যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার, বেকারত্ব সুবিধার আবেদন এবং মজুরি বৃদ্ধির হার সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। তিনটি প্রতিবেদনের মধ্যে দুটি পাউন্ড স্টার্লিং এর পক্ষে ছিল না, যখন তৃতীয় প্রতিবেদনটির ফলাফল নিরপেক্ষ ছিল। তা সত্ত্বেও, এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হওয়ার অনেক আগেই পাউন্ডের দরপতন শুরু হয়েছিল, তাই ব্রিটেনে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো ট্রেডারদের সেন্টিমেন্টে প্রায় কোনও প্রভাব ফেলেনি।

মনে রাখবেন, ব্রিটিশ পাউন্ড ডলারের তুলনায় অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল রয়ে গেছে। এইভাবে, আমরা এই পেয়ারের শক্তিশালী দরপতনের আশা করছি। যাইহোক, যতক্ষণ পর্যন্ত মূল্য 1.2611 এর লেভেলের নীচে কনসলিডেট না হয়, যেখান থেকে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার এই পেয়ারের মূল্য বাউন্স করেছে, ততক্ষণ কোন নিম্নমুখী প্রবণতা থাকবে না। ডলার নিয়ে বাজারের ট্রেডারদের মধ্যে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

মঙ্গলবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে শুধুমাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, মূল্য 1.2688 লেভেল থেকে ন্যূনতম ত্রুটি সহ দুবার বাউন্স করেছে, যা উপেক্ষা করা যেতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, মূল্য মাত্র 7 পয়েন্টের কারণে 1.2611-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি।

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য অবশেষে নিম্নগামী মুভমেন্ট শুরু করেছে, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্য এখনও 1.2611–1.2787 এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে রয়েছে। তাই এখন, নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়নি, তবে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে। আজকের মধ্যে, মূল্য আবারও 1.2611-এর নিচে কনসলিডেট করার চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যর্থ হতে পারে, যার পরে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের মধ্যে আরেক দফা এই পেয়ারের মূল্যের বৃদ্ধি শুরু হবে, যা 4-ঘন্টার টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।

সবকিছু নির্ভর করবে 1.2606–1.2611 এর এরিয়ার উপর, যা সাইডওয়েজ চ্যানেলের নিম্ন সীমানা হিসাবে কাজ করে, যেখানে পাউন্ডের মূল্য প্রায় এক মাস ধরে রয়েছে। যদি এই এরিয়া থেকে মূল্যের রিবাউন্ড হয়, আমরা আবার 1.2688 এর প্রথম লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন বিবেচনা করব। যদি এই এরিয়ার নীচে এই পেয়ারের মূল্যের কনসলিডেশন হয়, তাহলে আমরা 1.2544 এর লক্ষ্যমাত্রায় এই পেয়ার বিক্রি করার কথা বিবেচনা করব।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502,

1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2688, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993।

যুক্তরাজ্যে ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কেট সেন্টিমেন্টকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আমেরিকায়, কয়েকটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার প্রতি ট্রেডারদের খুব বেশি আগ্রহ থাকবে না।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।