EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২৭ মার্চ: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের মন্থর এবং দুর্বল মুভমেন্টের সাথে ট্রেডিং অব্যাহত ছিল। টানা দুই দিন ধরে, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা ছিল প্রায় 40 পিপস, যা ইউরোর ক্ষেত্রে বেশ কম। যাইহোক, গত কয়েক মাসে ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই মার্কেটের এই ধরনের পরিস্থিতিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহের শেষে, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বাড়তে দেখেছি, যা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের গৃহীত অবস্থানের কারণে হয়েছে। কিন্তু এটা স্পষ্ট ছিল যে নতুন সপ্তাহের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা আবার আগের স্তরে ফিরে আসবে।

ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনটি প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে, যা বর্তমান প্রবণতার শক্তিমত্তাকে পুরোপুরিভাবে চিত্রিত করে। মঙ্গলবার মার্কিন ডিউরেবল গুডসের অর্ডারের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যা কোনো উল্লেখযোগ্য মার্কেট রিয়্যাকশন উস্কে দেয়নি। এদিকে, ইউরোপীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিল না। আমরা আশা করছি যে এ সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প অস্থিরতার সাথে ট্রেড করা হবে এবং মূল্য স্পষ্টভাবে কোন নির্দিষ্ট দিকে যেতে থাকবে না।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু দুর্বল মুভমেন্টের কারণে সেগুলোর কোনোটিই যথেষ্ট লাভ আনেনি। প্রাথমিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0838-এর লেভেল থেকে বাউন্স করে এবং 1.0956-এর লেভেল অতিক্রম করে। যখন মূল্য 1.0956 লেভেলের নিচে স্থির হয়, তখন লং পজিশন ক্লোজ করা যেতে পারত। এই ট্রেড থেকে আক্ষরিক অর্থে দুই-চার পিপস লাভ করা যেতে পারে। তারপরই, শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারত, যা সন্ধ্যার কাছাকাছি ম্যানুয়ালি ক্লোজ করা যেতে পারত। এই ট্রেডই কিছু আয় করার একমাত্র উপায় ছিল। এই ট্রেড থেকে মোট প্রায় 15 পিপস লাভ হয়েছে, যা বর্তমান মুভমেন্টের শক্তিমত্তা বিবেচনা করে বেশ ভাল বলা যায়।

বুধবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য ক্রমাগত নিম্নমুখী হচ্ছে, যা এই পেয়ারের মৌলিক পটভূমির সাথে মিলে যায়। আমরা মনে করি যে যেভাবেই হোক ইউরোর দরপতন হওয়া উচিত, কারণ মূল্য এখনও অনেক বেশি রয়ে গেছে, এবং বিশ্বব্যাপী এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা রয়ে গেছে। দুর্ভাগ্যবশত, বাজারের ট্রেডাররা সবসময় যৌক্তিক পদ্ধতিতে এই পেয়ারের ট্রেড করতে চায় না এবং সময়ে সময়ে, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের অযৌক্তিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করি। তাছাড়া এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের মাত্রা বেশ দুর্বল রয়ে গেছে।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0568, 1.0611-1.0618, 1.0668, 1.0725, 1.0785-1.0797, 1.0838, 1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981, 1.1011, 1.1043, 1.1091। বুধবার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই বা ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। আমরা সম্ভবত খুব দুর্বল মাত্রার মুভমেন্ট দেখতে পাব এবং মার্কেট ট্রেডাররা সম্ভবত এই পেয়ারের ট্রেড করতে গিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় থাকবে।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।