GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২৭ মার্চ: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা এতটাই দুর্বল ছিল যে এটি খুব কমই লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। তথাপি, ডিসেন্ডিং চ্যানেলটি প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে, এবং যতক্ষণ মূল্য এই এরিয়ার মধ্যে থাকবে, আমরা পাউন্ডের মূল্য আরও কমার আশা করতে পারি। কার্যত যেকোনো ধরনের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এই পেয়ারের দরপতনের বিষয়টি অনুমান করা যেতে পারে। এক ঘন্টার চার্টে, এই পেয়ারের মূল্যের চলমান প্রবণতা মোটামুটি শক্তিশালী বলে মনে হচ্ছে। যদি আমরা 24-ঘণ্টার টাইমফ্রেম লক্ষ্য করি, তাহলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে গত 4 মাস ধরে এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 300 পিপসের রেঞ্জের মধ্যে ছিল। এই রেঞ্জের মধ্যেই এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প-মেয়াদী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ছিল না বা কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি এবং মার্কেটের ট্রেডাররা কার্যত মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনকে উপেক্ষা করেছে। যদি মূল্য ডিসেন্ডিং চ্যানেলের উপরে কনসলিডেট হয়, তাহলে এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু করার একটি নতুন প্রচেষ্টাকে নির্দেশ করতে পারে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক প্রেক্ষাপট ডলারের পক্ষে কাজ চালিয়ে গেলেও এই ধরনের পরিস্থিতির দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

5-মিনিট টাইমফ্রেমে, এই পেয়ারের মূল্য প্রাথমিকভাবে 1.2648 লেভেলের উপরে কনসলিডেট হয়েছিল, এবং তারপর কয়েক ঘন্টা পরে, মূল্য এই লেভেলের নিচে চলে গেছে। ফলে, দুটি সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথম বাই সিগন্যাল কোনো লাভ আনতে পারেনি, এবং ট্রেডাররা ব্রেকইভেনে স্টপ লসও সেট করতে পারেনি কারণ এই পেয়ারের মূল্য মাত্র 10 পিপস বেড়েছে। দ্বিতীয় সিগন্যাল কিছুটা ভালো ছিল, কারণ মূল্য উদ্দেশ্যমূলক দিকে প্রায় 15 পিপসের মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, যা অন্ততপক্ষে প্রথম ট্রেডের ক্ষতি পূরণ করার সুযোগ দিয়েছে। যাইহোক, সামগ্রিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক মুভমেন্টের ধরন অপরিবর্তিত রয়েছে - কার্যত এই পেয়ারের মূল্যের কোন অস্থিরতা ছিল না।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায়শই অনিয়মিতভাবে বা এমনকি মন্থরভাবে এই পেয়ারের ট্রেড করছে, যা ট্রেডারদের, বিশেষ করে নতুন ট্রেডারদের বিভ্রান্ত করে। তা সত্ত্বেও ব্রিটিশ মুদ্রার দর ক্রমান্বয়ে কমছে, যা উৎসাহব্যঞ্জক। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে।

বুধবার, আপনি শর্ট পজিশন বিবেচনা করতে পারেন এবং সেল সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং চ্যানেলের উপরে কনসলিডেট হলে আপনি বিয়ারিশ সিগন্যাল উপেক্ষা করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে, আপনি লং পজিশন ওপেন করার বিকল্প বেছে নিতে পারেন, এবং দর বৃদ্ধির আশা করতে পারেন। যাইহোক, যে কোন ক্ষেত্রে, সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হবে।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। বুধবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই বা কোন প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই। মনে হচ্ছে আমরা আরেকটি বিরক্তিকর দিন দেখতে পাব।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।