২৭ মার্চের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

বুধবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্যত কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। এমনকি গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশেরও কথা নেই। ফলে, আজ আমরা উভয় পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা হ্রাস পাওয়ার আশা করতে পারি। আমরা লক্ষ্য করেছি যে এই সপ্তাহে মার্কেটে ট্রেডাররা মোটেও সক্রিয় ছিল না। কিন্তু অন্তত সোমবার এবং মঙ্গলবার, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং ফেডারেল রিজার্ভ প্রতিনিধিদের বেশ কয়েকটি বক্তৃতা ছিল, সেইসাথে মার্কিন ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। আজ, সেরকম কিছুই নেই।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

আজ কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নেই। সম্ভবত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা দিনের বেলায় বক্তব্য দিতে পারেন, তবে এই ধরনের অনির্ধারিত বক্তৃতা ক্যালেন্ডারে প্রদর্শিত হয় না। ক্যালেন্ডারে সাধারণত কর্মকর্তাদের নির্ধারিত বক্তৃতা যুক্ত থাকে, কিন্তু বিভিন্ন রেডিও সম্প্রচার বা পডকাস্টে সাক্ষাৎকার বা অংশগ্রহণের মতো বক্তব্য ক্যালেন্ডারে যুক্ত থাকে না। তবে যেকোনো অবস্থাতেই মার্কেটের ট্রেডাররা এই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের আশা করছে না।

উপসংহার:

বুধবার কার্যত কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক ইভেন্ট নেই। উভয় পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা সম্ভবত দুর্বল থাকবে, এবং ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন হতে পারে। যাইহোক, যেহেতু নিম্নমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে, আমরা মনে করি যে আপনার নতুন সেল সিগন্যালের সন্ধান করা উচিত। এবং যেহেতু উভয় পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে করছে, তাই যেকোনো কারেকশন ধরনের মুভমেন্টের চেয়ে চলমান প্রবণতাই শক্তিশালী হওয়ার ভাল সুযোগ রয়েছে। যাইহোক, সমস্যা হল এই মুহূর্তে কোন বিশেষভাবে কার্যকর সেল সিগন্যাল নেই।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।]

3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো ওপেন করা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

কীভাবে চার্ট বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।