যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0404 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় ২০ পিপস নিচে কমে যায়, তবে মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।
নতুন করে শুল্ক আরোপের হুমকির কারণে স্বল্পমেয়াদে অস্থিরতা সৃষ্টি হলেও দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসে। বিনিয়োগকারীরা মনে করছে যে এই পদক্ষেপ কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগবে, যা বিভিন্ন সরকারকে কৌশলগত পদক্ষেপ এবং আলোচনার জন্য সুযোগ দেবে। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতিমালা ঘিরে মৌলিক অনিশ্চয়তা এখনো বিদ্যমান রয়েছে, যা ইউরোর আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করছে।
আজকের দিনে, ইউরোর উপর চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে, বিশেষ করে দিনের প্রথমার্ধে, কারণ ইউরোজোনের ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন এবং কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বিনিয়োগকারীরা এই পরিসংখ্যান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে যাতে ইউরোজোনের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা যায়। যদি আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল আসে, তাহলে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, যা ইউরোর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
একই সঙ্গে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট শুধুমাত্র সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন দ্বারা নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক কারণ এবং অন্যান্য মুদ্রার, বিশেষ করে মার্কিন ডলারের পারফরম্যান্স দ্বারাও প্রভাবিত হয়। ট্রেডারদের সতর্ক থাকতে হবে এবং ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সকল কারণ বিবেচনায় রাখা উচিত। এটি মনে রাখা জরুরি যে পূর্বাভাসসমূহ সম্ভাবনামূলক, এবং প্রকৃত বাজার পরিস্থিতি পূর্বাভাসের তুলনায় আলাদা হতে পারে।
দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0527-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0466-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0527-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। আসন্ন জিডিপি প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর দর বৃদ্ধির সম্ভাবনার উপর নির্ভর করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0442-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0466 এবং 1.0527-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0442-এর লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0389-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0466-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0442 এবং 1.0389-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।