যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0477 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো ক্রয়ের জন্য একটি উপযুক্ত এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য ৩০ পিপসেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে অল্পের জন্য মূল্য 1.0515 এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।
সম্প্রতি প্রকাশিত মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর দুর্বল ফলাফল ফেডারেল রিজার্ভের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, কারণ ফেডের কর্মকর্তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য উচ্চ সুদের হার বজায় রাখার পরিকল্পনা করছে। গত সপ্তাহের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন এই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সুদের হার অতিরিক্ত উচ্চ পর্যায়ে রাখলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যে বিষয়টি অর্থনীতিবিদদের মধ্যে ক্রমশ আলোচিত হচ্ছে। ডলারের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স থেকে বোঝা যাচ্ছে যে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আজকের ট্রেডিং সেশনে ইউরোজোনের বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। দিনটি শুরু হবে ইউরোজোন এবং ইতালির ট্রেড ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রকাশনার মাধ্যমে, এরপরে বুন্দেসব্যাংকের মাসিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং ইউরোগ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যদিও এই ইভেন্টগুলো ট্রেডার এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে এসব ইভেন্ট মার্কেটে সীমিত প্রভাব বিস্তার করতে পারে, কারণ বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবির) স্পষ্ট নীতিগত সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছে। ট্রেডারদের দৃষ্টি মূলত ইসিবির কর্মকর্তাদের বক্তব্য এবং মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে থাকবে, কারণ এসব উপাদান বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করবে।
তবে, বুন্দেসব্যাংকের প্রতিবেদন জার্মান অর্থনীতি এবং ইউরোজোনের অর্থনৈতিক অবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রকাশ করতে পারে। যদি আসন্ন প্রতিবেদনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার বা মূল্যস্ফীতির চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত থাকে, তাহলে এটি ইউরোর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
অন্যদিকে, ইউরোগ্রুপ বৈঠক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, তবে এটি সাধারণত তাৎক্ষণিকভাবে কোনো নীতিগত পরিবর্তন আনে না। বরং, এই বৈঠক নীতিনির্ধারকদের অগ্রাধিকার ও পরিকল্পনা সম্পর্কে অতিরিক্ত অন্তর্দৃষ্টি পাওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
আজকের দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0547-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0507-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.054-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণবতার অংশ হিসেবে দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর আরও দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0482-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0507 এবং 1.0547-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0482-এর লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0449-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0507-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0482 এবং 1.0449-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।