যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0459 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে। এই কারণে, আমি ইউরো বিক্রি করিনি এবং অন্য কোনো এন্ট্রি সিগন্যালও পাইনি।
গতকাল জার্মানির দুর্বল IFO সূচক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় মার্কেটে নেতিবাচক মনোভাব দেখা গিয়েছিল, সপ্তাহের শুরুতে পরিলক্ষিত ইতিবাচক প্রবণতার অবসান ঘটিয়েছে। জার্মানির নির্বাচনে বিরোধী দলের সাফল্যের ফলে যে বুলিশ মোমেন্টাম তৈরি হয়েছিল, তা একদিনের মধ্যেই হ্রাস পেয়েছে, এবং ইউরোর মূল্য পুনরায় সপ্তাহের শুরুর লেভেলে ফিরে এসেছে। এই পরিস্থিতি মার্কেটে আশাবাদী মনোভাবের ভঙ্গুরতা এবং এই পেয়ার সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রতি কতটা সংবেদনশীল তা স্পষ্ট করে তুলেছে। বিনিয়োগকারীরা এখন রাজনৈতিক বিষয়গুলো থেকে সরে এসে ইউরোজোনের অর্থনৈতিক মৌলিক উপাদানগুলোর দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে। আজ ট্রেডারদের দৃষ্টি মূলত জার্মানির জিডিপি প্রতিবেদনের ওপর নিবদ্ধ থাকবে।
জার্মানির চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি হ্রাস পাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতিসম্পন্ন দেশের অর্থনৈতিক মন্দা শুধুমাত্র দেশীয় পর্যায়ে নয়, বৈশ্বিক স্তরেও উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। বর্তমানে দেশটির সামষ্টিক প্রতিবেদনগুলোতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি নির্দেশিত হয়েছে যা নিঃসন্দেহে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলোকে প্রভাবিত করবে। এই প্রেক্ষাপটে, EUR/USD পেয়ারের ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। জিডিপি প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও নমনীয় অবস্থান গ্রহণের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রার আরও বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।
দৈনিক ট্রেডিং কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 কার্যকর করার ওপর বেশি গুরুত্ব দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0509-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0482-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0509-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। ইউরোজোন এবং জার্মানির সামষ্টিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0469-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0482 এবং 1.0509-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0469-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0444-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন সামষ্টিক প্রতিবেদনের খুব দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0482-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0469 এবং 1.0444-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।