যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0506 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো কেনার সিদ্ধান্ত নেইনি। কিছুক্ষণ পর, এই লেভেলের দ্বিতীয় টেস্ট ঘটে, সেসময় MACD সূচকটি ওভারবট জোনে ছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি করেছিল। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য মাত্র ২০ পিপস হ্রাস পায়, তারপর পুনরায় চাহিদা ফিরে আসে।
ফেব্রুয়ারির মার্কিন কনজিউমার কনফিডেন্স বা ভোক্তা আস্থা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের হতাশাজনক ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যা ইউরোর মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করেছে। এই সূচকটি মার্কিন ভোক্তাদের ব্যয় করার আগ্রহ প্রতিফলিত করে, এটি সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য মন্থরতার সংকেত দিতে পারে।
আজ, ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, তবে এটি ইউরোজোনের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলের উপর নির্ভর করবে। আজ জার্মান কনজিউমার ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, তবে পূর্বাভাস অনুযায়ী এই প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক হয়, তাহলে ইউরোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের চাহিদা ফিরে আসতে পারে। অন্যথায়, ইউরোর ওপর চাপ বৃদ্ধি পাবে এবং এটির মূল্য প্রধান সাপোর্ট লেভেলের দিকে নামতে পারে। বিনিয়োগকারীরা ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির যেকোনো লক্ষণ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, যদিও অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এখনও মূল উদ্বেগ হিসেবে রয়ে গেছে।
সামগ্রিকভাবে, ইউরোর মূল্যের স্বল্পমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি অনিশ্চিত রয়ে গেছে। সবকিছুই আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবের উপর নির্ভর করবে। ট্রেডিংয়ের সেরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য, মার্কিন প্রতিবেদন, ট্রাম্পের বিবৃতি এবং সামগ্রিক বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি প্রধানত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0554-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0511-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0554-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। জার্মানির সামষ্টিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0488-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0511 এবং 1.0554-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0488-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0455-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন সামষ্টিক প্রতিবেদনের খুব দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0511-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0488 এবং 1.0455-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।