যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.0409 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো কেনার সিদ্ধান্ত নেইনি। 1.0409 লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারবট জোনে ছিল, যা পরিকল্পনা #2 অনুযায়ী সেল সিগন্যাল দেয়, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্য 40-পিপসের বেশি হ্রাস পায়।
আজকের এশিয়ান সেশনে, ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ডলারের বিপরীতে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ইউক্রেনের প্রতি ইউরোপীয় নেতাদের সমর্থন বৃদ্ধির ফলে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির মধ্যে গত সপ্তাহের ব্যর্থ বৈঠকের পরপরই পরিলক্ষিত হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এটিকে ইউরোপের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে, যা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ডলারের চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে।
বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সত্ত্বেও, ইউরোর সামনে কিছু সম্ভাব্য ঝুঁকি বিদ্যমান। ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বাণিজ্য বিরোধ ইউরোজোনের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে চলেছে। ইউরোজোনের উৎপাদন খাত এখনো চাপের মধ্যে রয়েছে, যেখানে উচ্চ জ্বালানি মূল্য এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ব্যবসায়িক ও ভোক্তা আস্থাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। যদি আজ প্রকাশিতব্য PMI প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় নেতিবাচক হয়, তাহলে ইউরোর মূল্যের আরও নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
উৎপাদন খাত সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদন ছাড়াও, আজ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশিত হবে। ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত, যা এখনো উচ্চ স্তরে রয়েছে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই প্রতিবেদনটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, যাতে তারা বুঝতে পারে ভবিষ্যতে মুদ্রানীতি আরও নমনীয় করা দরকার কিনা। যদি মুদ্রাস্ফীতির হার প্রত্যাশার তুলনায় বেশি থাকে, তাহলে এই বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে ইসিবি সুদের হার অপরিবর্তিত রাখতে বাধ্য হতে পারে। অন্যদিকে, যদি মুদ্রাস্ফীতি কমতে শুরু করে, তাহলে ইসিবির আরও নীতিগত পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে এবং সুদের হার কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় আসতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0468-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0429-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0468-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। শুধুমাত্র ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইউরোজোনের সামষ্টিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0407-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0429 এবং 1.0468-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0407-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0367-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন সামষ্টিক প্রতিবেদনের প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0429-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0407 এবং 1.0367-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।