যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0685 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, চার্টে দেখা যাচ্ছে যে, যথাযথ কারেকশন দেখা যায়নি এবং ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে এই ট্রেড থেকে লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
মার্কিন পরিষেবা খাতের কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল সত্ত্বেও, ইউরোর বিপরীতে মার্কিন ডলার চাপের মধ্যে ছিল। এটি ইঙ্গিত করে যে বর্তমানে ডলার দুর্বল হচ্ছে, এবং যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানোর বিষয়ে আলোচনাগুলোও একেবারে ভিত্তিহীন নয়।
অন্যদিকে, ইউরোপীয় মুদ্রা স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করছে। এটি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) নমনীয় মুদ্রানীতি অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা এবং জার্মান সরকারের নতুন আর্থিক নীতিমালার কারণে হচ্ছে, যা সম্ভবত অন্যান্য দেশও অনুসরণ করবে।
আজ দিনের প্রথমার্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে এবং সেটি হচ্ছে ইসিবির মুদ্রানীতি সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস ধারণা করছে যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমাবে, যা ইতোমধ্যেই মার্কেটে বিবেচিত হয়েছে। ফলে, মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এবং ক্রিস্টিন লাগার্ডের প্রেস কনফারেন্সের প্রতিক্রিয়া অনিশ্চিত হতে পারে। সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াও, ইসিবির সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের ওপরও বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হবে। বিনিয়োগকারী এবং বিশ্লেষকরা মূল্যস্ফীতি ও ইউরোজোনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রত্যাশা মূল্যায়ন করতে পারবেন। পূর্বাভাস নেতিবাচক হলে, ভবিষ্যতে মুদ্রানীতি আরও নমনীয়করণের প্রত্যাশা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এছাড়াও, ক্রিস্টিন লাগার্ড কীভাবে প্রেস কনফারেন্সে এই সিদ্ধান্ত ও পূর্বাভাস উপস্থাপন করেন, সেটিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তার বক্তব্য এবং শব্দচয়ন বাজার পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করবে, কারণ বিনিয়োগকারীরা ইসিবির ভবিষ্যৎ অবস্থানের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা খুঁজবে।
সার্বিকভাবে, ইসিবির বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হবে এবং এটি ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটকে প্রভাবিত করবে, তবে ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোও বিবেচনায় রাখা উচিত, কারণ সেগুলো অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.0897-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0825-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0897-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। শুধুমাত্র ইউরোজোনের সামষ্টিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0781-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0825 এবং 1.0897-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0781-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0707-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। ইসিবির বৈঠকে অপ্রত্যাশিত কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0825-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0781 এবং 1.0707-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।