যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2978 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই, আমি পাউন্ড কেনার সিদ্ধান্ত নিইনি। 1.2978 লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টের সময়, MACD সূচকটি ওভারবট জোনে ছিল, যার ফলে এই পেয়ার বিক্রির জন্য পরিকল্পনা #2 কার্যকর করার সুযোগ পাওয়া যায় এবং এই পেয়ারের মূল্য ৩০ পিপসের বেশি হ্রাস পায়।
ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে নিম্নমুখী করায় মার্কিন ডলারের ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ফরেক্স মার্কেটে ডলার দুর্বল হয়ে পড়েছে, এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য দৈনিক সর্বনিম্ন লেভেল থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে পুনরুদ্ধার করেছে। ফেডের বৈঠকের পর, ২০২৫ সালের শেষে মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস 2.8% পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যা ডিসেম্বরে নির্ধারিত 2.5% এর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। একই সাথে, ফেড তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ 1.7% পর্যন্ত কমিয়ে এনেছে, যা আগের 2.1% পূর্বাভাসের তুলনায় কম। এই অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং মূলধনের পুনর্বণ্টনের মাধ্যমে ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
আজ, মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, কারণ ট্রেডাররা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মূল সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক কীভাবে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস মূল্যায়ন করে, তা ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। বিশেষ মনোযোগ কেন্দ্রীভূত থাকবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্যের ওপর, কারণ তার মন্তব্য ভবিষ্যতের মুদ্রানীতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত প্রদান করতে পারে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভবিষ্যতে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে সে ব্যাপারে ট্রেডাররা সজাগ দৃষ্টি রাখবে।
এছাড়া, আজ যুক্তরাজ্য থেকে শ্রম বাজার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে বেকারত্বের হার এবং গড় আয় পরিবর্তনের তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই সূচকগুলো ব্রিটিশ অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ নীতিমালার প্রত্যাশাকে প্রভাবিত করতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবো।
পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3068-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3010-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3068-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2976-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3010 এবং 1.3068-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2976-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2924-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। যতটা সম্ভব মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3010-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.2976 এবং 1.2924-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।