যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3154 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। আমি অন্য কোনো কার্যকর এন্ট্রি পয়েন্টও খুঁজে পাইনি।
গতকাল যুক্তরাজ্য থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন না আসায়, দিনের প্রথমার্ধে এই পেয়ারের মূল্য যে দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছিল, সেটিই বজায় রয়েছে। তবে আজকের পরিস্থিতি অনেক বেশি জটিল হতে পারে। GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের জন্য যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারে সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রয়োজন। যদি এই সূচকগুলোর যেকোনো একটির ফলাফল হতাশাজনক হয়, তবে সেটি ব্রিটিশ পাউন্ডের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
যুক্তরাজ্যে জবলেস ক্লেইমস বা বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা জাতীয় শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সেটি কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়, যা পাউন্ডকে দুর্বল করতে পারে। বেকারত্বের হার — অর্থাৎ শ্রমশক্তিতে থাকা মোট বেকার মানুষের শতাংশ — দেশটির অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার আরেকটি মূল নির্দেশক। উচ্চ বেকারত্বের হার অর্থনৈতিক মন্দা, ভোক্তা ব্যয়ের নিম্নগতি এবং সামাজিক অস্থিরতা নির্দেশ করতে পারে। অন্যদিকে, বেকারত্বের হার কম হলে মজুরি বৃদ্ধি পায় এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেতে পারে।
গড় আয় বৃদ্ধির হার কর্মীদের উপার্জনে পরিবর্তনের চিত্র তুলে ধরে। গড় মজুরি বৃদ্ধি উচ্চ উৎপাদনশীলতা, দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপের কারণ হতে পারে। গড় মজুরি কমে গেলে সেটিও পাউন্ডকে দুর্বল করতে পারে।
যদি ট্রেডাররা নেতিবাচক ফলাফল উপেক্ষা করে, তাহলে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাবে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3288-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3225-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3288-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3190-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3225 এবং 1.3288-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3190-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3135-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। পাউন্ড বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3225-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3190 এবং 1.3135-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।