গতকালের খবর অনুযায়ী, ট্রাম্প ইউরোপীয় পণ্যের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন — যার ফলে ইউরোর চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং এশিয়ান সেশনে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের তীব্র ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যায়। বিনিয়োগকারীরা এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের সম্ভাব্য সংকেত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন, যা ইউরোপীয় অর্থনীতির ভবিষ্যৎ মূল্যায়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে, মার্কেটে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পরেও ট্রেডারদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-র মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা জটিল ও অনিশ্চিত আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা এখনও বজায় রয়েছে, যা ইউরোপীয় মার্কেটের জন্য অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।
সপ্তাহের শুরুতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত না থাকার কারণে বিনিয়োগকারীরা এখন বুন্দেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াখিম নাগেল এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তৃতার দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, বিশেষ করে যেগুলো মুদ্রানীতির পূর্বাভাস ও মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেগুলো ইউরোর বিনিময় হারের ওপর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। ইউরোজোনের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সংক্রান্ত মন্তব্যগুলোও গুরুত্বপূর্ণ হবে। সার্বিক পরিস্থিতির ইতিবাচক মূল্যায়ন বিনিয়োগকারীদের ইউরোর প্রতি আস্থা বাড়াতে পারে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা ইউরোর দরপতন ডেকে আনতে পারে। রাজনৈতিক বিষয়গুলোও উপেক্ষা করা উচিত নয়। ইইউ-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাজস্ব নীতিমালা অথবা ইউরোপীয় একীভূতকরণের সম্ভাবনা নিয়ে যেকোনো ধরনের মন্তব্য কারেন্সি মার্কেটে অতিরিক্ত অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1467-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1428-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1467-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। গতকালের সংবাদের প্রভাবে আজ ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1397-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1428 এবং 1.1467-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1397-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1356-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1428-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1397 এবং 1.1356-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।