দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1359 এর লেভেল টেস্ট করেছিল — যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য মাত্র ১৫ পিপস বৃদ্ধি পায়, এরপর মার্কেটে পুনরায় বিক্রির প্রবণতা ফিরে আসে।
মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা আস্থা সূচকের চমকপ্রদ পরিসংখ্যান ডলারকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করে তোলে, যার প্রভাবে ইউরোর দরপতন ঘটে। কনফারেন্স বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত কনজ্যুমার কনফিডেন্স ইনডেক্সের ফলাফল বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে। এই প্রতিবেদনের ফলাফল ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতিগত ভবিষ্যত পদক্ষেপ সংক্রান্ত প্রত্যাশা পুনর্বিবেচনার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে আরও দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে সমর্থন জোগায়।
ইউরোপীয় অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ঘিরে চলমান অনিশ্চয়তার কারণেও ইউরোর দরপতন ঘটেছে। আংশিকভাবে পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও, ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক শুল্কের মুখে পড়েছে। এখনও এই সমস্যার কোনো সমাধান চোখে পড়ছে না এবং নিকট ভবিষ্যতে সমাধান হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
আজ ফ্রান্সের ভোক্তা ব্যয়, জিডিপি, বেকারত্বের হার এবং বেকারত্বের হারের পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর দুর্বল ফলাফল ইউরোর দরপতনের কারণ হতে পারে। তবে সামগ্রিক প্রেক্ষাপটের উপর সেই দরপতনের মাত্রা নির্ভর করবে। কতটা অপ্রত্যাশিত ফলাফল এসেছে এবং তা প্রত্যাশার তুলনায় কেমন — এসব বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। পূর্বাভাস থেকে সামান্য বিচ্যুতি মার্কেটে স্বল্পমেয়াদি অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু বড় ধরনের ভিন্নতা ইউরোর ব্যাপক বিক্রয়ের কারণ হতে পারে। তাছাড়া, ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া কেবল সংখ্যাগত মানের ভিত্তিতে নয়, বরং সেগুলোর ব্যাখ্যার উপরও নির্ভর করবে। বিনিয়োগকারীরা মূল্যায়ন করবে, দুর্বল ফলাফল সাময়িক কারণের ফল নাকি এটি গঠনগত দুর্বলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদি দ্বিতীয়টি মনে হয়, তাহলে ইউরোর ওপর চাপ আরও বাড়বে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1400-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1327-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1400-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। শুধুমাত্র সামষ্টিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1290-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1327 এবং 1.1400-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1290-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1233-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আসন্ন প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1327-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1290 এবং 1.1233-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।