যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1732 লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিইনি।
যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা খাতের কার্যকলাপের হার হ্রাস পেয়ে ISM সূচক ৫০-এর সীমারেখায় পৌঁছেছে, যা মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কিন্তু এটি ডলারের বড় ধরনের দরপতন ঘটায়নি। সম্ভবত মার্কেটের ট্রেডাররা এরকম একটি পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিল। ISM সূচক যখন এতটা সংকটাপন্ন স্তরের কাছাকাছি আসে, তা যুক্তরাষ্ট্রে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাসের প্রবণতা নির্দেশ করে, ফলে অক্টোবর মাসে ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক সুদের হার হ্রাস এখন সবচেয়ে সম্ভাব্য দৃশ্যপট হয়ে উঠেছে।
আজ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে যা ইউরোর ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। ট্রেডাররা ইউরোজোনের সেন্টিক্স বিনিয়োগকারীদের আস্থা সূচক, খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্যের দিকে দৃষ্টি রাখবে।
সেন্টিক্স সূচক ইউরোজোন অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে। যদি সূচকটির ফলাফল শূন্যের উপরে আসে, তাহলে তা ইতিবাচক আশাবাদ নির্দেশ করে; আর শূন্যের নিচের মান নিঃসন্দেহে নেতিবাচক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়।
খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের গ্রাহক ব্যয়ের সামর্থ্য মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয়, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তিগুলোর একটি। খুচরা বিক্রয় সূচকের হ্রাস অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের মন্থরতার সংকেত দিতে পারে এবং ইসিবির মুদ্রানীতি পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করতে পারে। তবে মনে রাখা উচিত, এই সূচকগুলো দুই মাস বিলম্বে প্রকাশিত হয়—ফলে এগুলো ট্রেডারদের পরিকল্পনায় ততটা তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলবে না।
আজকের মূল ইভেন্ট হবে লাগার্ডের বক্তব্য। তার মন্তব্য ইসিবির ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ট্রেডাররা খুব মনোযোগ দিয়ে সুদের হারের সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে যেকোনো ইঙ্গিত খুঁজবে। তবে, তার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে বলা যায়, শিগগিরই আর্থিক নীতিমালায় নতুন কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা খুবই কম।
আজকের ট্রেডিংয়ে আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং পরিকল্পনা 2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1746-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1721-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1746-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের বেশ ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরো ক্রয় করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1697-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1721 এবং 1.1746-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1697-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1674-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর বিয়ারিশ চাপ ফিরে আসবে।
গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1721-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1697 এবং 1.1674-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।