যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবার 1.1658 লেভেলটি টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। দ্বিতীয়বার 1.1658 লেভেল টেস্ট করার সময়, MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল। এতে করে বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর হওয়ার সুযোগ তৈরি হয় এবং এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 20-পিপস ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করে।
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের মন্তব্য—যেখানে তারা সতর্ক করেছেন যে সুদের হার বেশি তাড়াতাড়ি কমানো হলে মূল্যস্ফীতি আবার বাড়তে পারে—তা ডলারের দর বৃদ্ধির পেছনে অবদান রেখেছে এবং ইউরোর যথেষ্ট পরিমাণে দরপতন ঘটিয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আরও কঠোর মুদ্রানীতির প্রত্যাশা করছে এবং সে কারণে ইউরো ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট বিক্রি করে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ডলারের দিকে ঝুঁকছে।
আজ ট্রেডারদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে জার্মানির শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্য। উভয় ইভেন্টই ইউরোর মূল্যের স্বল্পমেয়াদি দিকনির্দেশনা এবং সামগ্রিকভাবে মার্কেটের পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে।
জার্মানিতে প্রকাশিত আগস্ট মাসের শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন ইউরোজোনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের এক গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এই প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল মার্কেটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতার নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে এবং ইসিবি কর্তৃক আরও নমনীয় নীতিমালার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করবে, যা ইউরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, ইতিবাচক ফলাফল ইউরোজোনের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে পারে এবং ইউরোর পক্ষে সহায়ক হতে পারে।
লাগার্ডের বক্তব্যও বিনিয়োগকারীরা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। তাঁর বক্তব্যে ইসিবির নীতিগত অবস্থান পরিবর্তনের সম্ভাবনা, মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস, বা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে কোনো সংশোধনের ইঙ্গিত থাকলে তা ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে, সুদের হার কমানোর সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হলে তা ট্রেডারদের আরও বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করবে, কারণ ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
আজকের দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা 1 ও পরিকল্পনা 2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1674-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1629-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1674-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1606-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1629 এবং 1.1674-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1606-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1564-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1629-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1606 এবং 1.1564-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।