যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1547 লেভেল টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণে, আমি ইউরো কেনার সিদ্ধান্ত নেইনি। সামান্য সময় পর 1.1547-এর লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টের ফলে সেল সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাওয়া যায় এবং এর ফলস্বরূপ এই পেয়ারের মূল্য ২৫ পিপসেরও বেশি হ্রাস পায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের অনুপস্থিতিতে ডলারের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং দুপুরের দিকে ইউরোর দর সামান্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন না থাকায় ট্রেডাররা মার্কিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছেন না, যার ফলে মার্কেটে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এ অবস্থায় ইউরোর মূল্য কিছুটা গতি অর্জন করলেও তা দ্রুত ক্ষয় হয়ে যায়। যদিও ইউরোজোনের অভ্যন্তরীণ সমস্যাও রয়েছে—বিশেষ করে জ্বালানি সংকট ও অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকির বিষয়ে—তবুও মার্কিন প্রতিবেদন না থাকার প্রেক্ষাপটে ইউরোকে আপেক্ষিকভাবে আরও আকর্ষণীয় মনে হয়েছে।
আজ দিনের প্রথমার্ধে জার্মানির চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপি সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। পূর্ববর্তী প্রাথমিক প্রতিবেদন থাকা সত্ত্বেও, আজকের বিস্তারিত প্রতিবেদন জার্মানির অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে আরও নির্ভুলভাবে মূল্যায়নের সুযোগ দেবে। ট্রেডাররা দেশটির জিডিপির কাঠামোর দিকে মনোযোগ দেবে, যাতে বোঝা যায় অর্থনীতির কোন খাতগুলো স্থিতিশীল রয়েছে এবং কোন খাতগুলো সবচেয়ে বেশি চাপের মুখে পড়েছে। বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে শিল্পখাতের উৎপাদন, রপ্তানি এবং ভোক্তা ব্যয় সম্পর্কিত সূচকে। এই প্রতিবেদনের ফলাফল ইউরোর বিনিময় হারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। ইতিবাচক ফলাফল, যা জার্মানির অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয়, তা ইউরোকে সমর্থন দিতে পারে এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে ইতিবাচক করতে পারে। অন্যদিকে, নেতিবাচক ফলাফল, যা অর্থনৈতিক মন্দা আরও বৃদ্ধির আভাস দেবে, ইউরোর দরপতন ঘটাতে পারে এবং মার্কেটে ভোলাটিলিটি বাড়াতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর বেশি নির্ভর করব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1555-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1527-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1555-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1512-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1527 এবং 1.1555-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1512-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1487-এর লেভেল যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1527-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1512 এবং 1.1487-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।