শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। প্রথম নজরে আজকের প্রতিবেদনগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হতে পারে; তবে এই সপ্তাহে আরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেগুলোর প্রায় কোনোটা-ই সামগ্রিকভাবে মার্কেটে প্রভাব ফেলতে পারেনি। স্থানীয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বজায় থাকলেও অস্থিরতার মাত্রা কমই থেকে যাচ্ছে। তাই আজ মার্কেটে পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন সম্ভাবনা খুবই কম। ইউরোজোনে তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপির তৃতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে। এই অনুমান পূর্বের দুই অনুমানের তুলনায় খুব একটা ভিন্ন হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে, এবং ইউরোকে খুব বেশি সহায়তা প্রদানও করবে না। ইউরোজোনের অর্থনীতি এখনো অত্যন্ত দুর্বল গতিতে এগিয়ে চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে আজ যে প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হবে তার মধ্যে রয়েছে কোর PCE মূল্যসূচক, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোক্তা আস্থা সূচক, এবং মার্কিন ভোক্তাদের ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন। প্রথম দুটি সূচককে শর্তসাপেক্ষে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে, কারণ সেগুলোর ফলাফলের মার্কেটে কিছুটা হলেও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আজকের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:শুক্রবার বেশ কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট তালিকাভুক্ত থাকলেও সেগুলোর কোনোটি-ই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউরোজোনে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইনের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে, তবে বর্তমানে ইসিবির নীতিনির্ধারণী কাঠামো নিয়ে ট্রেডারদের কাছে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নেই। ইসিবি ইতোমধ্যেই মুদ্রানীতির নমনীয়করণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে, এবং সাম্প্রতিককালে মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিও সম্ভাব্যভাবে ইসিবিকে নীতিগত সুদের হার পরিবর্তনে বাধ্য করবে না। বর্তমানে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিবৃন্দ "নীরব" রয়েছেন, কারণ আগামী সপ্তাহে ফেডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে এই সময় ফেডের প্রতিনিধিদের মুদ্রানীতি সংক্রান্ত কোনোরকম মন্তব্য করার অনুমোদন নেই।
উপসংহার:সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংইয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই অব্যাহতভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। ইউরোর জন্য 1.1655–1.1666 একটি চমৎকার ট্রেডিং এরিয়া হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ডও 1.3329–1.3331 রেঞ্জে ট্রেড করা হচ্ছে। শুক্রবার অস্থিরতার মাত্রা আবারও কম থাকতে পারে, কারণ আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।চার্টে কী কী রয়েছে:সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।