যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ উপরে অবস্থান করছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3385 লেভেলে পৌঁছায়, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি পাউন্ড ক্রয় করিনি এবং পুরো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টটি কাজে লাগাতে পারিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক প্রাথমিক বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুপুরের দিকে মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটে এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার পরিস্থিতি বর্তমানে দুর্বলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ফেডারেল রিজার্ভের পক্ষ থেকে সুদের হার আরও হ্রাসের প্রত্যাশা বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতি মার্কিন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং উচ্চ রিটার্নের অনুসন্ধানে বিনিয়োগকারীদের কাছে অন্যান্য মুদ্রাকে তুলনামূলকভাবে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলছে।
আজ যুক্তরাজ্যের জিডিপি, শিল্প উৎপাদন এবং পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। জিডিপি হচ্ছে অর্থনীতির ভিত্তিমূল, যা অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ বা সংকোচনের গতি মূল্যায়নে সহায়তা করবে এবং ভবিষ্যতে দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিত নির্ধারণের জন্য অপরিহার্য। যেহেতু এ বছরের জুলাই মাসে সর্বশেষ জিডিপি প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছিল, সেহেতু আজ যদি কোনো নেতিবাচক ফলাফল প্রকাশ পায় তবে সেটি পাউন্ডের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
শিল্প উৎপাদনের প্রবাহও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, যা শিল্প খাতের অবস্থা প্রতিফলন করে; উল্লেখ্য, এই খাত জিডিপি গঠনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানেও বড় ভূমিকা রাখে। শিল্প উৎপাদনে বৃদ্ধির অর্থ হলো, পণ্য ও পরিষেবার প্রতি ভোক্তাদের চাহিদা বাড়ছে, যা ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে তোলে। অন্যদিকে, উৎপাদন হ্রাস পেলে তা অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে ধীরগতি ইঙ্গিত দেয় এবং এটি আরও গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের পূর্বাভাস হতে পারে।
পণ্য বাণিজ্য ঘাটতির হিসাব একদিকে রপ্তানি ও আমদানির পার্থক্য নির্দেশ করে। এই তিনটি অর্থনৈতিক সূচক একত্রে যুক্তরাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র প্রদান করবে এবং মার্কেটের ট্রেডার ও বিনিয়োগকারীদের আরও সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি প্রধানত পরিকল্পনা #1 ও #2 অনুসরণ করব।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3431-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3400-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3431-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে মূল্য পরপর দুইবার 1.3386-এর লেভেলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও আমি আজ পাউন্ড কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3400 এবং 1.3431-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3386-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3366-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের বিক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে মূল্য পরপর দুইবার 1.3400-এর লেভেলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3386 এবং 1.3366-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।