বুধবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের খুবই সীমিত মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, যেখানে এই পেয়ার প্রায় ২০–৩০ পিপস দরপতন প্রদর্শন করে। ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে মার্কেটে স্বল্প ট্রেডিং কার্যক্রমের কারণে প্রায় কোনোই অস্থিরতা দেখা যায়নি। সেদিন কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি বা কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও অনুষ্ঠিত হয়নি। বৃহস্পতিবার মার্কেট বন্ধ ছিল এবং আজ রাতেই পুনরায় ট্রেডিং শুরু হয়েছে। বলা যায়, ছুটির মৌসুম শুরু হয়ে গেছে — যার অর্থ হলো, স্বাভাবিকের তুলনায় আরও কম ট্রেডিং কার্যক্রম বিরাজ করছে এবং এই সময় এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মায়টা অত্যন্ত কম থাকতে পারে। যদি মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রেডিংয়ের জন্য কোনো নির্ভরযোগ্য ভিত্তি খুঁজে পায়, তাহলে শুধুমাত্র টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করেই সম্ভাব্য মুভমেন্টের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে, তাই বাই সিগনালগুলোই বর্তমানে বেশি প্রাসঙ্গিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবারের মতো, শুক্রবারেও কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না এবং কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত নেই।
EUR/USD 5M পেয়ারের চার্ট৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার একটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছিল — মূল্য 1.1808 লেভেল থেকে বাউন্স করার ফলে এই সিগন্যাল গঠিত হয়। এটি এশিয়ান ট্রেডিং সেশনের সময় ঘটেছিল এবং এই সিগন্যাল থেকে ট্রেড করে লাভ হয়েছে, কারণ এরপর এই পেয়ারের মূল্য প্রায় ২০ পিপস কমে যায় — যেটি নতুন ট্রেডাররা সহজেই কাজে লাগাতে পারতেন। শুক্রবার রাতে কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট বা ট্রেডিং সিগন্যাল দেখা যায়নি।
শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য খুব শীঘ্রই পুনরায় 1.1800–1.1830 এরিয়ার পৌঁছাতে পারে — যেটি দৈনিক টাইমফ্রেমে ফ্ল্যাট রেঞ্জের উপরের সীমানা নির্দেশ করে। এইবার এই পেয়ারের মূল্য ছয় মাসব্যাপী দৃশ্যমান সাইডওয়েজ চ্যানেল ব্রেকআউট করে বের হয়ে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন ডলারের জন্য সামগ্রিক মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও বেশ নেতিবাচক রয়েছে, ফলে আমরা মধ্যমেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকার প্রত্যাশা করছি।
শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1808 লেভেল থেকে ট্রেডিংয়ের কথা বিবেচনা করতে পারেন — যেখান থেকে বুধবার এই পেয়ারের মূল্য বাউন্স করেছিল। এই লেভেল থেকে মূল্যের বাউন্স হতে দেখা দিলে সেটি একটি সেল সিগনাল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে; তবে স্বল্পমেয়াদে আমরা এখনও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি। এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেল ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হলে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে, যেখানে মূল্যের 1.1851-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1550, 1.1584-1.1591, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। আজ ইউরোজোন কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে না বা কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে না। ফলে আজ আমরা এই পেয়ারের মূল্যের খুব দুর্বল ও সীমিত মুভমেন্টের প্রত্যাশা করতে পারি।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।চার্টে কী কী রয়েছে:সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।