logo

FX.co ★ GBP/USD: ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতির পরিস্থিতি

GBP/USD: ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতির পরিস্থিতি

GBP/USD: ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতির পরিস্থিতি

ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার 50 এর পরিবর্তে 75 বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। এখন, বাজারের খেলোয়াড়রা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে, যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থার হাতে ২৫ বেসিস পয়েন্ট হার বাড়ানো ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক মন্দা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হার বৃদ্ধির মধ্যে যুক্তরাজ্য তার মুদ্রানীতি সামঞ্জস্য করতে বাধ্য হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বিশ্ববাজারে ডলারের মূল্য দ্রুত বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পাউন্ড স্টার্লিং রক্ষার জন্য ফেডের নীতি অনুসরণ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অস্বাভাবিক হার বৃদ্ধি শুধুমাত্র সে দেশের আর্থিক অবস্থাকেই নয়, পাউন্ড স্টার্লিংকেও প্রভাবিত করতে পারে।

মে মাসে, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড ফেডের চেয়ে কম আক্রমনাত্মকভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলস্বরূপ, GBP নিচে নেমে যায়। এখন, যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রককে আরও সিদ্ধান্তমূলক হতে হবে। ৫০ বেসিস পয়েন্টের বৃদ্ধি এখন প্রত্যাশিত, এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এমনকি ৭৫ বা ১০০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধিও বিবেচনা করতে পারে।

স্যাক্সো ব্যাংকের এফএক্স কৌশলের প্রধান জন হার্ডি বলেছেন, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড তার নীতিকে আরও আক্রমনাত্মকভাবে কঠোর না করলে পাউন্ড আরও বিস্তৃত ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। যুক্তরাজ্যের তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হার বৃদ্ধির গতি এবং পরিমাণ মার্কিন এবং যুক্তরাজ্যের সার্বভৌম ঋণ এবং অন্যান্য আর্থিক সম্পদের উপর প্রদত্ত ফলনকে প্রভাবিত করে।

যুক্তরাজ্যের তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যদি হার দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তাহলে এটি ব্রিটেন থেকে মূলধনের বহিঃপ্রবাহ তৈরি করবে, যা GBP -এর ক্ষতি এবং USD-এর চাহিদা টেনে আনবে।
বিগত বেশ কিছু ট্রেডিং দিন ধরে, GBP/USD পেয়ার1.2000 স্তরের টেস্ট করেছে এবং নিম্নমুখী হয়েছে। ২০২২ সালের শুরু থেকে, বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সময়ে পাউন্ড স্টার্লিং মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১১% মূল্য হারিয়েছে। এর অর্থ হলো যুক্তরাজ্যের ব্যবসা এবং ভোক্তারা জ্বালানি পণ্য, পণ্য এবং আন্তর্জাতিক পরিষেবাগুলির জন্য ইতিমধ্যেই উচ্চ মূল্যের উপর আরও ১১% প্রিমিয়াম প্রদান করছে, যা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের দেয়া ২.০% লক্ষ্যমাত্রার অনেক উপরে মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়েছে।

রয়টার্সের বাজার বিশ্লেষক রবার্ট হাওয়ার্ড উল্লেখ করেছেন, "স্টার্লিংয়ের দুর্বলতা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের জন্য দ্বিধা বাড়িয়েছে কারণ এটি ব্রিটেনের অর্থনীতিকে খুব বেশি ক্ষতি না করে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করছে।" যাইহোক, এটি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের জন্য কোনো অসমাধানযোগ্য সমস্যা নয়।

ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে?

গোল্ডম্যান শ্যাক্সের মতে, নিয়ন্ত্রক বছরের দ্বিতীয়ার্ধে আরও বড় অর্থনৈতিক মন্দা এড়াতে তার আর্থিক কঠোরকরণ চক্রকে একটু বিরতি দিতে পারে। যাইহোক, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের পতন হওয়ায়, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড চক্রটি থামানোর বিলাসিতা নাও করতে পারে।

গোল্ডম্যান শ্যাক্সের একজন অর্থনীতিবিদ, স্টেফান বল মন্তব্য করেছেন, "হার বৃদ্ধির চক্রে বিরতি নেয়ার ঝুঁকি থেকে যায় যদি পরিস্থিতি আমাদের বেসলাইন পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি খারাপ হয়। তবে মুদ্রাস্ফীতির দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধির প্রত্যাশা অথবা পাউন্ড স্টার্লিংয়ের আরও বেশি অবমূল্যায়নের ফলে আসন্ন মাসগুলোতে হার বৃদ্ধির গতি আরও দ্রুত হতে পারে।

এটা নিশ্চিত যে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড জুন মাসে সুদের হার বাড়াবে। যাইহোক, নিয়ন্ত্রকের ভবিষ্যত পরিকল্পনা মূলত পাউন্ড স্টার্লিং এর কর্মক্ষমতা উপর নির্ভর করবে। যদি GBP/USD তার নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রাখে এবং 1.2000-এর মূল স্তরের নিচের সীমা ব্রেক করে, তাহলে মুদ্রাস্ফীতি কমাতে এবং পাউন্ডের পতন ঠেকাতে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডকে নীতি কঠোরকরণে বিরতির ধারণাটি বাতিল করতে হবে।

GBP/USD: ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতির পরিস্থিতি

স্কটিয়াব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা আগামী সপ্তাহে 1.2000 স্তরের নিচে পেউন্ডের পতন দেখছেন।

ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের নীতি বাজারের প্রত্যাশার তুলনায় কম কঠোর, যা ফেডের সুদৃঢ় হার বৃদ্ধির মধ্যে এই জুটির জন্য আরও ক্ষতির কারণ হতে পারে। বাজার মনোভাবের একটি স্থিতিশীল উন্নতি এবং ডলারের দুর্বল অবস্থানই কেবল পাউন্ডকে 1.2000 স্তরের উপরে স্থিতিশীল হতে অনুমতি দেবে।

ফেড ১৯৯৪ সালের নভেম্বরের পর থেকে প্রথমবারের মতো ৭৫ পয়েন্ট সুদের হার বাড়িয়ে ১.৫-১.৭৫% করার পরে, মার্কিন ডলার অপ্রত্যাশিতভাবে কমে গেছে।

ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল, সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে নিয়ন্ত্রক শক্তিশালী শ্রম বাজার সংরক্ষণের সাথে সাথে মুদ্রাস্ফীতিকে ২% এর লক্ষ্য স্তরে নামিয়ে আনতে চায়। পাওয়েলের বক্তব্য ফেডের প্রতি বাজারের খেলোয়াড়দের আস্থা বাড়িয়েছে।

যাইহোক, বৃহস্পতিবারের প্রথম দিকে মার্কিন মুদ্রা অন্যান্য প্রধান মুদ্রা, বিশেষ করে পাউন্ড স্টার্লিং-এর বিপরীতে ঊর্ধ্বমুখী সংশোধনীতে চলে যায়।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account