logo

FX.co ★ রাশিয়ান স্বর্ণের উপর নিষেধাজ্ঞা: ছোট্ট মশার কামড় নাকি চিন্তার খোরাক?

রাশিয়ান স্বর্ণের উপর নিষেধাজ্ঞা: ছোট্ট মশার কামড় নাকি চিন্তার খোরাক?

রাশিয়ান স্বর্ণের উপর নিষেধাজ্ঞা: ছোট্ট মশার কামড় নাকি চিন্তার খোরাক?

গতকাল, সাতটি জি-৭ দেশের মধ্যে চারটি দেশ, রাশিয়া থেকে স্বর্ণ আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের তাদের অভিপ্রায় ঘোষণা করেছে। আসুন মূল্যবান ধাতু বাজারের জন্য এর অর্থ কি তা খুঁজে বের করা যাক এবং নিষেধাজ্ঞাগুলো কি আদৌ যতটা বলা হচ্ছে ততটা ভয়ের?

রোববার জার্মানিতে শুরু হয়েছে তিন দিনের জি -৭ শীর্ষ সম্মেলন। প্রত্যাশা অনুযায়ী, আলোচনার কেন্দ্র ছিল ইউক্রেনের পরিস্থিতি। রাজনীতিবিদরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এই সময়, জি -৭ দেশসমূহ "পবিত্র" - স্বর্ণের রপ্তানি, যা থেকে মস্কো বছরে বিলিয়ন ডলার আয় করে , বন্ধ করে ক্রেমলিনের উপর তাদের চাপ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাশিয়া হল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হলুদ ধাতু উৎপাদনকারী। এটি বিশ্বের ৯.৫% স্বর্ণ সরবরাহ করে থাকে। শুধুমাত্র গত বছর, বুলিয়ন বিক্রি রাশিয়ান অর্থনীতিতে $১৫ বিলিয়ন বেশি যোগ করেছে।

জি-৭ এর কিছু প্রতিনিধিদের ধারণা অনুযায়ী, নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে মস্কোর অক্সিজেনে (অর্থনীতি) আরও খানিকটা ঘাটতি দেখা দেবে, এবং তারা আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের ট্রেড করার ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত হবে।

এই মুহুর্তে, রাশিয়ান স্বর্ণের উপর নিষেধাজ্ঞার ধারণাটি "বিগ সেভেন" এর সদস্য চারটি দেশ দ্বারা সমর্থিত হয়েছে: আমেরিকা, কানাডা, গ্রেট ব্রিটেন এবং জাপান।

তদুপরি, ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঘোষণা করেছিল যে "এই ব্যবস্থার একটি বিশ্বব্যাপী সুযোগ থাকবে।" কিন্তু সত্যিই কি তাই? রাশিয়া থেকে স্বর্ণ আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা এর অর্থনীতি এবং মূল্যবান ধাতু বাজারে সাধারণভাবে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে?

বিশ্লেষকদের মতে, জি-৭ দেশগুলির সিদ্ধান্ত রাশিয়ার অর্থনীতির জন্য খুব একটা বড় ধাক্কা হবে না, বরং এটিকে ছোট্ট মশার কামড় বলা যেতে পারে।

এই তথ্যটি প্রমাণ করতে, আসুন পরিসংখ্যান দেখে নেয়া যাক।বর্তমানে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকসমূহ বিশ্বব্যাপী মোট স্বর্ণের মাত্র ১০% ব্যবহার করে থাকে, যেখানে গয়না শিল্প ৬০% এর বেশি স্বর্ণ ব্যবহার করে।

সেইসাথে, গয়না শিল্পে হলুদ ধাতুর মূল ভোক্তারা মোটেও জি-৭ দেশসমূহ নয়, বরং চীন, ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্য।

এর ভিত্তিতে, এটি অনুমান করা যেতে পারে যে রাশিয়ার অর্থনীতিতে নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ক্রেমলিনের বিরোধীরা যতটা ভাবছে ঠিক ততটা উল্লেখযোগ্য হবে না।

এছাড়াও, স্বর্ণের বাজারের জন্য বড় ধাক্কার কথা বলা অর্থহীন। অনেক বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করতে চান যে রাশিয়া থেকে স্বর্ণ আমদানি নিষিদ্ধ করার জন্য কিছু জি-৭ দেশের পরিকল্পনা একটি আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়, কারণ প্রকৃত নিষেধাজ্ঞা ইতোমধ্যেই আরোপ করা হয়েছে।

স্মরণ করুন যে মার্চের শুরুতে রাশিয়ান স্বর্নের জন্য ইউরোপীয় এবং মার্কিন বাজার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যখন লন্ডন বুলিয়ন মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন তার বিশ্বস্ত সরবরাহকারীদের তালিকা থেকে রাশিয়ান স্বর্ণ-খনি বাদ দিয়েছিল।

এই সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার প্রতিবেদনে প্রাথমিক বাজার প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও, বিশ্লেষকরা স্বর্ণের দামে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির পূর্বশর্ত দেখতে পাচ্ছেন না। স্পট গোল্ড আজ সকালে ০.৫% বেড়ে প্রতি আউন্সের মূল্য $1,835.41 হয়েছে।

রাশিয়ান স্বর্ণের উপর নিষেধাজ্ঞা: ছোট্ট মশার কামড় নাকি চিন্তার খোরাক?

বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত যে সামষ্টিক অর্থনীতিই মূলত মূল্যবান এই ধাতুর বাজার মূল্যের প্রধান ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর আর্থিক নীতির কড়াকড়ি বুলিয়ানের উপর শক্তিশালী চাপ অব্যাহত রাখবে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account