logo

FX.co ★ GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১৫ জানুয়ারি। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করতে সংগ্রাম করছে

GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১৫ জানুয়ারি। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করতে সংগ্রাম করছে

GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১৫ জানুয়ারি। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করতে সংগ্রাম করছে

মঙ্গলবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের কাছাকাছি আসেনি। যদিও সোমবার একটি নতুন কারেকশন শুরু হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, এটি দ্রুত গতি হারিয়েছে। সোমবার এবং মঙ্গলবার উভয় দিনেই মার্কেটের ট্রেডাররা এই পেয়ারের বিক্রি বন্ধ করার জন্য কোনো কারণ খুঁজে পায়নি। বিস্তৃত পরিসরের প্রযুক্তিগত, সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক কারণগুলো এই পেয়ার বিক্রির প্রবণতাকে সমর্থন করে চলেছে, যেখানে বাই সিগন্যাল সাধারণত শুধুমাত্র CCI সূচকের ডাইভারজেন্স এবং ওভারসোল্ড জোনে অবস্থানের দ্বারা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এই মুহূর্তে, নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হবে বলে বিশ্বাস করার মতো কোনো শক্তিশালী কারণ নেই।

তবে, আজ ডলার এবং পাউন্ডের বাজার পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে, কারণ যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ট্রেডারদেরকে অবাক করতে পারে। যদিও এই প্রতিবেদনগুলো ট্রেডিংয়ের কৌশলে সম্পূর্ণ পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা যায় না, এগুলো স্বল্পমেয়াদে বাজার প্রবণতা নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও, আর মাত্র এক সপ্তাহ পর ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

আমরা আসন্ন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনগুলোর সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে জল্পনা এড়িয়ে যাব, কারণ এই ধরনের পূর্বাভাস প্রায়শই ভুল প্রমাণিত হয়। এর পরিবর্তে, আজ মার্কেট মুভমেন্ট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট সম্পর্কে যেকোনো সিদ্ধান্ত বুধবার সন্ধ্যার পরে নেওয়া যেতে পারে। তবে, আমাদের প্রত্যাশা রয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হলে GBP/USD পেয়ারের উল্লেখযোগ্যভাবে দরপতন হতে পারে, যা অন্যান্য সমস্ত কারণকে ছাপিয়ে যাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এই ইঙ্গিত দেবে যে পূর্বের অনুমান অনুযায়ী ২০২৫ সালে ফেডারেল রিজার্ভ দুইবার সুদের হার নাও হ্রাস করতে পারে। এর ফলে, ডলারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

গত ১৬ বছর ধরে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে এবং কারেকশন থেকেও কোনো সুবিধা নিতে পারেনি। এমনকি যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হলেও উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, এটি বিবেচনা করা জরুরি যে এটি কীভাবে পাউন্ডকে সাহায্য করবে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ইতোমধ্যে মূল সুদের হার হ্রাসের ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে, কিন্তু যুক্তরাজ্যের স্থবির অর্থনীতির কারণে তারা ভবিষ্যতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। দুর্বল অর্থনীতি পাউন্ড বিক্রির কারণ হিসেবে বিবেচিত হবে, ক্রয়ের নয়, বিশেষত ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন না হলে।

মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের আগে স্বল্পমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি করতে ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য অত্যন্ত অনুকূল পরিস্থিতির প্রয়োজন। দৈনিক এবং সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে ব্রিটিশ কারেন্সির আরও দরপতনের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১৫ জানুয়ারি। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করতে সংগ্রাম করছে

সর্বশেষ পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে 130 পিপস, যা এই পেয়ারের জন্য উচ্চ হিসেবে বিবেচিত হয়। বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, আমরা আশা করছি যে এই পেয়ারের মূল্য 1.2052 থেকে 1.2312 রেঞ্জের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। আপার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি নিম্নমুখী প্রবণতা নির্দেশ করছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার পূর্বাভাস দেয়। যদিও CCI সূচকটি আবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, তবে নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে ওভারসোল্ড সিগন্যাল কেবল একটি কারেকশনের কারণ হতে পারে। পূর্ববর্তী বুলিশ ডাইভারজেন্সও একটি কারেকশনের সংকেত দিয়েছিল, যা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।

নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:

  • S1 – 1.2207
  • S2 – 1.2085
  • S3 – 1.1963

নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:

  • R1 – 1.2329
  • R2 – 1.2451
  • R3 – 1.2512

ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

GBP/USD পেয়ারের মূল্য বিয়ারিশ প্রবণতা প্রদর্শন করছে। এই সময়ে লং পজিশন নেওয়া সুপারিশযোগ্য নয়, কারণ আমরা মনে করি যে ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্য বৃদ্ধির করতে পারে এমন সকল সম্ভাব্য কারণ ইতোমধ্যেই মার্কেটে মূল্যায়িত হয়েছে, এবং বর্তমানে কোনো নতুন কারণ উপলব্ধ নেই। কেবলমাত্র প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে যদি মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের উপরে কনসোলিডেট হয়, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা 1.2390 এবং 1.2451 নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে, সেল অর্ডার এখনও অধিক প্রাসঙ্গিক কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা 1.2085 এবং 1.2052।

চিত্রের ব্যাখা:

  • লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী।
  • মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে।
  • মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা।
  • অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
  • সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।
* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account