logo

FX.co ★ ৯ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

৯ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

৯ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। সারাদিন ধরে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশিত হয়নি, তবে সন্ধ্যায় চীনের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা আসে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সূচনা করে। পাউন্ডের 500 পিপস দরপতনের পর এখনই ধরে নেওয়ার সময় আসেনি যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। ট্রাম্প চাইলে এই পুরো পরিস্থিতি খুব সহজেই "মেরামত" করতে পারেন। তিনি আর কতদূর যেতে পারেন এই মুহূর্তে আমরা সেটি কল্পনা করতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছি! কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করাও এখন একধরনের আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়েছে। যেখানে আগে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দেশটির অর্থনীতির অংশ হতে চাইতেন, এখন অনেকেই সেই দেশ থেকে দূরে থাকতে চাইছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে; আমাদের দৃষ্টিতে সেটিই হয়তো সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি নয়। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিণতি নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা না করে ট্রাম্প 'সর্বশক্তি' নিয়ে মাঠে নেমেছেন—আর গলফ ক্লাবে বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করছেন। সংক্ষেপে, ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে এবং বাণিজ্যযুদ্ধ আরও জটিল আকার ধারণ করছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৯ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

5 মিনিট টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার কমপক্ষে তিনটি শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। 1.2791–1.2798 জোন থেকে মূল্য দুইবার বাউন্স করেছে এবং 1.2723 লেভেল থেকে একবার বাউন্স করেছে। তিনটির মধ্যে দুটি ট্রেডেই মূল্য টার্গেট লেভেলে পৌঁছেছিল। তৃতীয় ট্রেডটি সম্ভবত স্টপ লসের মাধ্যমে ব্রেকইভেনে ক্লোজ হয়েছে। সেক্ষেত্রে, তুলনামূলকভাবে সীমিত দৈনিক মুভমেন্ট থেকেও মঙ্গলবার 70–80 পিপস পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব ছিল।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

1 ঘণ্টার টাইমফ্রেমে অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু ট্রাম্প এখনও ডলারের দরপতন ঘটানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আমরা আর দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দেওয়ার চেষ্টা করছি না। শুক্রবার এই পেয়ারের যে বড় ধরনের দরপতন দেখা গেছে, তা একটি উল্লেখযোগ্য কারেকশনের সূচনা হতে পারে। তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত পর্যবেক্ষণ করছে। একবার ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক ঘোষণার কথা বললেই ডলার আবারও দরপতনের শিকার হচ্ছে। আর এখনো কেউ যদি মনে করে এটিই ডলারের শেষ দরপতন—তাহলে তারা সত্যিই খুব আশাবাদী!

বুধবার GBP/USD পেয়ারে মূল্যের অস্থিরতা এবং ঝড়ো মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। আজ পাউন্ড ও ডলারের মূল্যের দিকনির্দেশনা কী হবে, তা পূর্বাভাস দেওয়া প্রায় অসম্ভব। আপাতত যুক্তিসঙ্গতভাবে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান রয়েছে এবং এই প্রবণতা সারাদিন ধরে অব্যাহত থাকতে পারে।

5 মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3225, 1.3272।

বুধবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র—কোনো দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে নিশ্চিতভাবেই দিনব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা সামনে আসতে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা উচ্চ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মার্কিন ডলারের আরেক দফা দরপতনের সম্ভাবনাও যথেষ্ট প্রবল।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account