logo

FX.co ★ ১১ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

১১ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১১ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

গত ২৪ ঘণ্টায় GBP/USD পেয়ারের মূল্য 170 পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকে। কয়েক দিন আগেই আমরা উল্লেখ করেছিলাম যে ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে, তবে এটাও বলেছিলাম যে এটি খুব দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। যেমনটা দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্প চীনের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করার ডলার আবারও দরপতনের শিকার হয়েছে। পূর্বেই বলা হয়েছে, ডলারের দরপতন অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলতে পারে কারণ ট্রাম্প চীন ও অন্যান্য দেশের ওপর অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করতে পারেন। হায়ার টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল চিত্রও এখন উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে, তাই বর্তমানে এসব বিশ্লেষণের গুরুত্ব তুলনামূলকভাবে কম। আমাদের আগে ট্রাম্পের শুল্ক বাস্তবায়নের সময়কাল পার করতে হবে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে, তখন আমরা হায়ার টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল অবস্থা নতুন করে মূল্যায়ন করতে পারবো এবং উপসংহার টানতে পারবো।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১১ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, যদিও পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট ইউরোর তুলনায় ততটা শক্তিশালী ছিল না। ফলে নতুন ট্রেডারদের লাভ ইউরোর মতো বেশি না হলেও, কিছুটা আয়ের সুযোগ অবশ্যই ছিল। আজ ট্রাম্পের জন্য একটি নতুন দিন—মানে, আমরাও নতুন নতুন সুযোগ পেতে পারি।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

১ ঘণ্টার চার্টে অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রাম্প এখনো ডলারের দরপতন ঘটানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর পর থেকেই আমরা দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের পূর্বাভাস দেওয়া থেকে বিরত রয়েছি। শুক্রবার এই পেয়ারের তীব্র দরপতন দেখা গিয়েছিল, যা একটি বড় কারেকশনের সূচনা হতে পারে। তবে মার্কেট এখনো ট্রাম্প এবং তার সিদ্ধান্তের নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে। ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক ঘোষণা করলেই ডলার পুনরায় দরপতনের শিকার হয়।

শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বজায় থাকতে পারে। আজ পাউন্ড এবং ডলারের মূল্য কোন দিকে যাবে সে পূর্বাভাস দেওয়া কার্যত অসম্ভব। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনাই এখন পর্যন্ত যথার্থ বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু বেইজিং অথবা ওয়াশিংটন থেকে আজ কী ধরনের খবর আসবে, তা কেউ জানে না।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য যেসব লেভেল ব্যবহার করা যেতে পারে: 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3225, 1.3272।

শুক্রবার যুক্তরাজ্যে জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, তবে আমরা মনে করছি না যে মার্কেটের ট্রেডাররা সেগুলোতে খুব একটা মনোযোগ দেবে। আর মনোযোগ দিলেও, এগুলোর বাস্তব কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account