logo

FX.co ★ ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নতুন শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে

ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নতুন শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে

সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনায় সন্তোষজনক ফল না পাওয়া গেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত প্রায় €95 বিলিয়ন মূল্যের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে।

প্রস্তাবিত পাল্টা ব্যবস্থা মূলত শিল্পজাত পণ্যকে লক্ষ্য করে আরোপ করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে বোয়িং কোং-এর বিমান, যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি গাড়ি এবং আগে বাদ দেওয়া হয়েছিল এমন পণ্য যেমন বোরবন। এই নতুন প্রস্তাব ইইউ সদস্য রাষ্ট্র ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত হবে এবং এই আলোচনার ফলাফল ১০ জুনের মধ্যে জানানো হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নতুন শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে

ইউরোপীয় কমিশন—যা ইইউ-এর বাণিজ্য বিষয়ক নির্বাহী সংস্থা—এই সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসবে, যেখানে উদ্দেশ্য থাকবে নতুন শুল্কনীতির ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছানো। কমিশনের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বিভিন্ন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে—বাণিজ্য ও অ-বাণিজ্য বাধা কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ উৎসাহিত করা, যা ভবিষ্যতে আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে রূপ নিতে পারে।

এপ্রিলের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আলোচনায় খুব একটা অগ্রগতি হয়নি এবং বেশিরভাগ মার্কিন শুল্ক বহাল থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইইউ কর্তৃপক্ষ এই সপ্তাহে জানায়, ট্রাম্পের চালু করা চলমান তদন্তগুলোর কারণে নতুন শুল্ক আরোপের আওতায় পড়া ইইউ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের পরিমাণ বেড়ে €549 বিলিয়ন হতে পারে। তবে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে ইইউ এখনও সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি, আটলান্টিকের দুই পাড়ে ভোক্তা ও ব্যবসার জন্য পারস্পরিক সুবিধাজনক চুক্তি প্রণয়ন করা সম্ভব। একইসঙ্গে, আমরা সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আজকের আলোচনা আমাদের সেই প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে।"

ইইউ-এর প্রস্তাবিত পণ্যের তালিকায় নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি শুল্কের হার কত হতে পারে। ইইউ-এর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, শুল্কের হার এবং পরিমাণ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত চার সপ্তাহের আলোচনার পর নেওয়া হবে এবং এটি নির্ভর করবে আলোচনার ফলাফলের উপর। প্রস্তাবিত শুল্ক ছাড়াও, ইউরোপীয় কমিশন সম্ভাব্যভাবে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ—যেমন স্টিল স্ক্র্যাপ ও রাসায়নিক পণ্য—যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ওপর সীমাবদ্ধতা (মূল্য €4.4 বিলিয়ন) নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করবে। বিশেষজ্ঞরা জানান, এসব ব্যবস্থা কোটা, লাইসেন্স বা নির্দিষ্ট পণ্যের সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আকারে কার্যকর হতে পারে।

ইইউ-এর এই নতুন প্রতিকারমূলক তালিকাটি হবে প্রথম তালিকা যা আগের €21 বিলিয়নের চেয়ে বেশি মার্কিন পণ্যকে লক্ষ্য করে আরোপ করা হবে—যা ট্রাম্পের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫% শুল্কের জবাবে আরোপ করা হয়েছিল। গত মাসে, যুক্তরাষ্ট্র ইইউ-র বেশিরভাগ পণ্যের ওপর শুল্ক ২০% থেকে কমিয়ে ১০% করলে, ইইউ সেই পাল্টা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

ইইউ–যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য ভারসাম্য
২০২৪ সালে ইইউ যুক্তরাষ্ট্রে €531.6 বিলিয়ন মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং আমদানি করেছে €333.4 বিলিয়ন, যার ফলে €198.2 বিলিয়নের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত সৃষ্টি হয় (ইউরোস্ট্যাটের সূত্র অনুযায়ী)। তবে, সেবাখাত বিবেচনায় নিলে চিত্র কিছুটা ভারসাম্যপূর্ণ হয়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বৃত্ত রয়েছে। ২০২৩ সালে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মোট বাণিজ্যের মধ্যে ইইউ-এর রপ্তানি ও মার্কিন রপ্তানির ব্যবধান ছিল ৩%, যা প্রায় €48 বিলিয়ন।

EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের এখন মূল্যকে 1.1260 লেভেলে পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। কেবল তখনই 1.1310 টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে 1.1370 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দকেহা যেতে পারে, তবে মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া তা অর্জন কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1400 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তবে 1.1205-এর কাছাকাছি ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সেখানে যদি সাপোর্ট লেভেল খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে 1.1150 এর লো লেভেলের টেস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1097 থেকে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ
ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে মূল্যকে 1.3250 এর কাছাকাছি রেজিস্ট্যান্স লেভেল অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যকে 1.3285-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারবে, যেটি ব্রেক করা কঠিন হতে পারে। সবচেয়ে দূরের লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3310 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা মূল্যকে 1.3212 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেক করে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3170 এর লো লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এবং সম্ভবত আরও নিচে 1.3125 পর্যন্ত দরপতন বিস্তৃত হতে পারে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account