logo

FX.co ★ ইসিবি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে

ইসিবি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে

যদিও ইউরো এখনো ডলারের বিপরীতে চাপের মধ্যে রয়েছে এবং ইউরোরমূল্যের বুলিশ মোমেন্টাম সম্পূর্ণরূপে হারানোর ঝুঁকিতে আছে, তবুও একজন ইউরোপীয় নীতিনির্ধারক মনে করেন মুদ্রাস্ফীতি 2%-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা সাময়িকভাবে অর্জিত না হলেও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশি উদ্বিগ্ন না হওয়া এবং সুদের হারে অতিরিক্ত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করা উচিত।

ইসিবি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে

ক্রোয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "স্বল্পমেয়াদে যেসব হেরফের দেখা যাবে, তা নিয়ে আমাদের বেশি উদ্বিগ্ন না হওয়াই উচিত।" গভর্নিং কাউন্সিলের তুলনামূলকভাবে 'হকিশ বা কঠোর' অবস্থানধারী সদস্যদের একজন ভুজসিক বলেন, ইসিবি চাইলে অপেক্ষা করতে পারে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নির্ভর করবে আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর।

অতি সতর্ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রকৃতপক্ষে অনাকাঙ্ক্ষিত ফল নিয়ে আসতে পারে। ইউরোপে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এখনো বেশ অসমতা বিরাজ করছে, বিশেষ করে মার্কিন শুল্কনীতির প্রভাবে। এবং আর্থিক নীতিমালা অতিরিক্ত নমনীয় করা হলে সেটি ইসিবি'র গ্রহণযোগ্য স্তরে সদ্য ফিরে আসা মুদ্রাস্ফীতিকে আবারও ত্বরান্বিত করতে পারে। তবে শুধুমাত্র মুদ্রাস্ফীতি নয়, বরং কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলোও বিবেচনায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

তবুও, বর্তমান নীতিমালার স্থিতাবস্থা বজায় রাখাও আদর্শ সমাধান নয়। দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ সুদের হার অপরিবর্তিত থাকলে ইউরোজোনের ইতোমধ্যেই দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও মন্থর হয়ে যেতে পারে। ফলে, যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ইসিবি'র উচিত সব দিক ভালোভাবে বিবেচনা করা।

বিশ্ব অর্থনীতি যখন একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নতুন পরিস্থিতির ব্যাপারে নমনীয় থাকা উচিত এবং খাপ খাইয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা চালানো উচিত। মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে আসার প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপাদানকে উপেক্ষিত রাখতে পারে।

ভুজসিকের কয়েকজন সহকর্মী— যেমন ফিনল্যান্ডের ওলি রেন এবং ফ্রান্সের ফ্রাঁসোয়া ভিলেরোই দে গালো— সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, মুদ্রাস্ফীতির হার দীর্ঘদিন ধরে 2% পর্যন্ত পৌঁছাতে নাও পারে, বিশেষ করে যদি ইউরো শক্তিশালী হতে থাকে। গত এক বছরে আটবার 0.25 পয়েন্ট করে সুদের হার কমানোর পর, কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ কার্যক্রম এখন প্রায় শেষের দিকে রয়েছে। যেহেতু মুদ্রাস্ফীতি হার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে এবং অর্থনীতি এখনো বাণিজ্য থেকে শুরু করে যুদ্ধ পর্যন্ত নানা বহিরাগত ধাক্কা সহ্য করছে, বিনিয়োগকারীরা এই মাসে সুদের হার হ্রাসে বিরতির আশা করছেন— তবে বছরের শেষের আগে অন্তত আরও একবার সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

ভুজসিক বলেন, "আমরা বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছি, যেখানে মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার দুটোই 2%-এ রয়েছে।" তিনি যোগ করেন, এই মুহূর্তে আমরা আরও প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে পারি। কারণ মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি বর্তমানে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।"

ভুজসিক জোর দিয়ে বলেন, সেপ্টেম্বর বৈঠকের সময় ইসিবির কাছে জুলাই ও আগস্টের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন থাকবে। তিনি বলেন, "এই সমস্ত প্রতিবেদনের ফলাফল পরবর্তী করণীয় বিষয়ে আমাদের আরও স্পষ্ট ধারণা দেবে।"

EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1740 লেভেলে পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কেবল তখনই 1.1790-এর লেভেলের টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1825 পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া তা অর্জন করা কঠিন হতে পারে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1866-এর লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তবে আমি মূল্য 1.1690 লেভেলে থাকা অবস্থায় শক্তিশালী ক্রয়ের চাহিদার আশা করছি। যদি সেখানে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখা যায়, তাহলে 1.1650 পর্যন্ত দরপতনের জন্য অপেক্ষা করাই উত্তম, অথবা 1.1620 থেকে লং পজিশন বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।

GBP/USD য়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমেই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3605 -এর নিকটতম রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করিয়ে উপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে। কেবলমাত্র সেক্ষেত্রে এই পেয়ারের মূল্য 1.3640 এর দিকে এগোতে পারে, যার ওপরে আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3680-এর লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তবে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3560-এর লেভেলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। এতে সফল হলে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের বুলিশ পজিশন বড় ধাক্কা দেবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য1.3530 এর সর্বনিম্ন লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এমনকি 1.3490-এর লক্ষ্যমাত্রায়ও পৌঁছাতে পারে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account