logo

FX.co ★ ১০ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

১০ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১০ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বুধবার, আগের সপ্তাহের চলমান প্রবণতার সাথেই EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত ছিল। দিনের বেশিরভাগ সময়জুড়ে মার্কেটে ট্রেডিং কার্যক্রম অত্যন্ত কম ছিল, এবং অত্যন্ত স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত মার্কেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণার—যেমন তামা ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের ওপর সম্ভাব্য শুল্ক এবং জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও আরও ১৩টি দেশের জন্য শুল্ক বৃদ্ধির সংবাদের প্রতি কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে আমরা এটিকে সাময়িক একটি ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করছি। বর্তমানে মার্কিন ডলারের মূল্যের যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা পুরোপুরিভাবে একটি টেকনিক্যাল কারেকশন—এবং এটি বেশ দুর্বল, যা এমনকি ১ ঘণ্টার টাইমফ্রেমেও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। স্বাভাবিকভাবেই, যদি ডলারের পক্ষে কোনো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক খবর আসে, তাহলে এটির ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে। কিন্তু সেই খবরটা কী হতে পারে, যখন ট্রাম্প এই পুরো সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিনই আমদানিকৃত পণ্যের উপর নতুন নতুন শুল্ক ঘোষণা করে চলেছেন? আমরা এখনও মনে করি, ডলারের আরও দরপতন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, এবং ট্রেন্ডলাইন ব্রেকআউট করে এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে তা এই পেয়ার কেনার জন্য একটি টেকনিক্যাল ভিত্তি প্রদান করবে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১০ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বুধবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে কোনো ট্রেডিং সিগনালই গঠিত হয়নি। সারাদিনে এই পেয়ারের মূল্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ লেভেলের কাছাকাছিও যায়নি, ফলে নতুন ট্রেডারদের পজিশন ওপেন করার জন্য কোনো যৌক্তিক ভিত্তি ছিল না।

বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

১ ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের হচ্ছে, কিন্তু পাঁচ মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, এই একটি তথ্যই ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট। মাঝে মাঝে কারেকশন হওয়া স্বাভাবিক (যেমনটি এখন দেখা যাচ্ছে), কিন্তু সামগ্রিক মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনও এমন নয় যে ডলারের মূল্যের স্থায়ী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রত্যাশা করা যায়। এই সপ্তাহে, এই পেয়ারের মূল্য ধীরে ধীরে কমতে পারে, কিন্তু ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি নতুন একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সংকেত দেবে।

বৃহস্পতিবার, EUR/USD পেয়ারের মন্থর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। সপ্তাহের শেষের দিকের ট্রেডিংয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই, এবং এখন পর্যন্ত এমন কোনো স্পষ্ট সংকেত পাওয়া যায়নি যা কারেকশনের সমাপ্তি নির্দেশ করে।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে নিম্নোক্ত লেভেলগুলোর উপর নজর রাখতে হবে: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908।

বৃহস্পতিবার, জার্মানিতে জুন মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় প্রাথমিক অনুমান প্রকাশিত হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্র জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। উভয় প্রতিবেদনই গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায় এবং ইউরো কিংবা ডলারের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

নতুন ট্রেডারদের জন্য টিপস:

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account