logo

FX.co ★ ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার প্রযুক্তিগত বিপ্লবের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন

ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার প্রযুক্তিগত বিপ্লবের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন

যেহেতু ক্রমশ ফেডের কম সংখ্যক কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে মার্কিন মুদ্রানীতির সম্ভাবনা নিয়ে মন্তব্য করছেন, তাতে ধারণা করা যায় যে আগামীকালই ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল তার ভাষণে সুদের হার কমানোর দিকে নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারেন — যেমনটি ট্রাম্প প্রশাসন আগেই প্রত্যাশা করছিল।

এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের কাছে অত্যন্ত প্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত হবে, যদিও গত কয়েক মাস ধরে ফেড ধারাবাহিক ও কঠোরভাবে বার্তা দিয়ে এসেছে যে মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। হঠাৎ করে নমনীয় আর্থিক নীতিমালার দিকে সরে যাওয়া হলে সেটি মার্কেটে জল্পনা-কল্পনা সৃষ্টি করবে যে কত দ্রুত এবং কত সময়ের জন্য সুদের হার কমানো হতে পারে।

ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার প্রযুক্তিগত বিপ্লবের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন

একদিকে, সুদের হার কমানো হলে সেটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে পারে, স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ঋণের বোঝা হ্রাস করতে পারে। অন্যদিকে, এটি নতুন করে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি বাড়াতে পারে, ডলারের দরপতন ঘটাতে পারে এবং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে বাবল সৃষ্টি করতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন অবশ্যই সুদের হার কমানোর বিষয়টি স্বাগত জানাবে, কারণ এটি তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সমর্থনকারী নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে, এমন সিদ্ধান্তকে ফেডের ওপর রাজনৈতিক চাপ হিসেবে দেখা হতে পারে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করবে এবং ভবিষ্যতে হস্তক্ষেপের নজির তৈরি করবে।

পরিশেষে, জেরোম পাওয়েলের ভাষণটি মার্কিন অর্থনীতি এবং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটের জন্য একটি নির্ধারক মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে। বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শব্দ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন, ফেডের অভিপ্রায় বোঝার চেষ্টা করবেন এবং সম্ভাব্য নীতিগত পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করবেন।

গতকালের বক্তব্যে ক্রিস্টোফার ওয়ালার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং স্টেবলকয়েনকে ঘিরে চলমান প্রযুক্তিগত বিপ্লবের প্রতি সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন, যা মার্কিন অর্থনীতিকে উৎসাহিত করতে পারে, যদিও কিছু সমালোচক এ নিয়ে অনিশ্চয়তা ব্যক্ত করে থাকতে পারেন। ওয়ালার ওয়াইওমিং-এ একটি ব্লকচেইন সিম্পোজিয়ামে তার বক্তব্যে বলেন, "আজকের প্রযুক্তিগুলো হয়তো নতুন, কিন্তু নতুন পেমেন্ট সার্ভিস তৈরিতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার মোটেও নতুন নয়।"

ওয়ালার এর আগে বিকেন্দ্রীভূত অর্থনীতির (DeFi) কিছু দিকের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে এমন প্রযুক্তি যা ঐতিহ্যবাহী পেমেন্ট সিস্টেমের পরিপূরক হিসেবে ডিজিটাল অ্যাসেটকে সমর্থন করে। তিনি ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার টেকনোলজিকে আরও দক্ষ এবং দ্রুত অ্যাসেট মুভমেন্ট ট্র্যাক করার একটি উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বুধবার তিনি জোর দিয়ে বলেন, পেমেন্টে ডি-ফাইয়ের প্রভাব — ঝুঁকি হ্রাসসহ — ইতিবাচক হতে পারে যদি বেসরকারি খাত এবং ফেড একসাথে কাজ করে। ওয়ালার আরও বলেন, "এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, শুধু এই কারণে যে এটি বিকেন্দ্রীভূত আর্থিক ব্যবস্থার বা ডি-ফাইয়ের জগত। এটি কেবল একটি নতুন প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে সম্পদ স্থানান্তর এবং লেনদেন নথিভুক্ত করা হয়।" তিনি যোগ করেন যে বেসরকারি ও সরকারি উভয় খাতই তাদের নিজ নিজ ভূমিকায় উদ্ভাবন প্রয়োগ করতে পারে।

ওয়ালার উল্লেখ করেছেন যে ফেড সর্বশেষ উদ্ভাবনী কার্যক্রম যেমন টোকেনাইজেশন, স্মার্ট কন্ট্র্যাক্ট এবং পেমেন্টে AI নিয়ে গবেষণা করছে এবং এই দিকেই এগিয়ে যেতে প্রস্তুত।

EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1660 এর ওপরে নিয়ে যেতে হবে। কেবল তখনই 1.1700 এর লেভেল টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1730 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1768-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, আমি মূল্য 1.1625 এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানেও ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তাহলে 1.1600 লেভেলের রিটেস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1565 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা উচিত হবে।

GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3480-এর নিকটতম রেসিস্ট্যান্স অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3530 এর দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে, যদিও সেই লেভেলের ওপরে ওঠা বেশ কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3560-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.3440-এ থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3410 পর্যন্ত নেমে যাবে, যার পরবর্তী সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3375-এর লেভেল।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account