logo

FX.co ★ ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে

ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে

শনিবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের ভাষণ আজ ইউরোর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রাখতে সহায়তা করেছে।

জ্যাকসন হোল সিম্পোজিয়ামে তার বক্তব্যে লাগার্ড নীতিনির্ধারক ও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন না তোলার আহ্বান জানিয়েছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে সরকার যদি সুদের হার নির্ধারণে হস্তক্ষেপ করে, তবে অর্থনীতি অকার্যকর হয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে

লাগার্ড বলেন, "যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জবাবদিহি করতে হবে, আমাদের প্রতিবেদন পেশ করতে হবে এবং সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, সেটা মার্কিন কংগ্রেস হোক বা ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। তবে সবচেয়ে জরুরি হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবশ্যই স্বাধীন থাকতে হবে।"

তার এই মন্তব্য এমন এক প্রেক্ষাপটে এসেছে যেখানে বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর উপর আর্থিক ও রাজস্ব নীতি আরও ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করার জন্য চাপ বাড়ছে। লাগার্ড জোর দিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতাই একটি স্থিতিশীল ও পূর্বানুমানযোগ্য অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মূলভিত্তি।

রাজনৈতিক প্রভাব থেকে স্বাধীন থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কেবল সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক ও পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক লক্ষ্য এতে কোনো ভূমিকা রাখে না। সরকারি হস্তক্ষেপ সুদের হারকে তাৎক্ষণিক সুবিধার জন্য ব্যবহার করতে পারে, যেমন নির্বাচনী জনতুষ্টি নীতি, যা শেষ পর্যন্ত মুদ্রার প্রতি আস্থা দুর্বল করে এবং মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায়।

লাগার্ড উল্লেখ করেছেন, "ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা এটি প্রমাণ করে যে যেসব দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা রয়েছে সেসব দেশে মুদ্রাস্ফীতি কম এবং দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বেশি স্থিতিশীল হয়।" তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা খর্ব হলে কী ঘটে। লাগার্ড বলেন, "নিয়ন্ত্রণ অকার্যকর হয়ে যায়, কর্তৃপক্ষ এমন কাজ শুরু করে যা তাদের করা উচিত নয়, যার পরবর্তী ধাপ হলো অর্থনীতির ভঙ্গুর পরিস্থিতি। সেটিই হলো অস্থিতিশীলতা, যদি আরও খারাপ কিছু না হয়। এই কারণেই আমি মনে করি যে এটি কখনোই আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত নয়।"

EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী: বর্তমানে ক্রেতাদের 1.1740 লেভেলের উপরে নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1780-এর লেভেল টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে। সেখান থেকে 1.1830 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হওয়া সম্ভব, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1865-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, আমি 1.1700 লেভেলের আশেপাশে উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ আশা করছি। যদি তা না ঘটে, তবে 1.1655-এর লো পুনরায় টেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা ভালো হবে বা 1.1625 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী: পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3530-এর লেভেল অতিক্রম করাতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা 1.3560-এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যার উপরে ব্রেকআউট আরও চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3590 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3490-এ থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই রেঞ্জের ব্রেকআউট হলে সেটি ক্রেতাদের উপর বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3455-এর দিকে নিয়ে যাবে, সম্ভাব্যভাবে 1.3425 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হতে পারে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account