logo

FX.co ★ ইউরোর শক্তিশালী দরপতন ঘটেছে

ইউরোর শক্তিশালী দরপতন ঘটেছে

ইউরোর উল্লেখযোগ্যভাবে দরপতন হয়েছে। সম্প্রতি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) অনেক নীতিনির্ধারক সুদের হার কমানোর বিষয়ে আরও সতর্ক অবস্থান নেওয়ার পক্ষেই মত দিচ্ছেন। তবে, তাদের মাঝে একজন ব্যতিক্রম হলেন ইসিবির গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ওলি রেন।

গতকাল এই নীতিনির্ধারক সতর্ক করে দেন যে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার হয়তো ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার নিচে নেমে যেতে পারে। ফিনল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ওলি রেন বলেন, "আমরা মূলত আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি — এই দিক থেকে বর্তমানে পরিস্থিতি ইতিবাচক। তবে, আগামী কয়েক বছরে আমরা মূল্যস্ফীতির মন্থরতার প্রত্যাশা করতে পারি, যা আংশিকভাবে ইউরোর দর বৃদ্ধি এবং মজুরি ও পরিষেবা খাতের স্থিতিশীলতার কারণে হবে।"

ইউরোর শক্তিশালী দরপতন ঘটেছে

এক বছরের মধ্যে আট দফা প্রতি প্রান্তিক ভিত্তিতে সুদের হার কমানোর পর এখন নীতিনির্ধারকরা আরও আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ভাবছেন। এদের অনেকেই মনে করছেন, যদি কোনো নতুন অর্থনৈতিক ধাক্কা না আসে, তাহলে ২% সুদের হার নির্ধারণ করে ইসিবি কাজ চালিয়ে নিতে পারবে। অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করছেন সুদের হার আরও কমানোর সম্ভাবনাকেও একেবারে বাতিল করা উচিত নয়।

এই বাস্তবতা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। একদিকে, অর্থনৈতিক মন্দার ইঙ্গিত রয়েছে, যা অতিরিক্ত প্রণোদনার যৌক্তিকতা সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে, আর্থিক নীতিমালার অতিরিক্ত নমনীয়করণ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে — যেমন উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ফিনান্সিয়াল মার্কেটে বাবল সৃষ্টি হতে পারে। ইসিবির সিদ্ধান্ত একাধিক বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে, যার মধ্যে রয়েছে আগামী মাসগুলোয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অগ্রগতি, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ঝুঁকি এবং পূর্ববর্তী ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়ায় মার্কেটের ট্রেডারদের আচরণ। ফলে মুদ্রানীতির ভবিষ্যত সম্ভাবনা নির্ধারণে কর্মসংস্থান, মূল্যস্ফীতি এবং ভোক্তা ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

ওলি রেন আরও বলেন যে ইসিবি মধ্যমেয়াদি পরিস্থিতির ওপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে। তিনি বলেন, "বর্তমানে আমরা ব্যাপক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি — একদিকে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, অন্যদিকে বাণিজ্য যুদ্ধ থেকে উদ্ভূত অনিশ্চয়তা — এ কারণেই আমরা প্রতিটি বৈঠকে সর্বশেষ প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, সম্মিলিত পর্যালোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেই। এ ধরনের সময়গুলোতে মুদ্রানীতি একইসাথে বিজ্ঞান এবং শিল্প হিসেবে বিবেচিত হয়।"

সোমবার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড বলেছেন যে ইসিবি এখন একটি ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে: ভোক্তা মূল্য বৃদ্ধির হার ২%-এর কাছাকাছি রয়েছে এবং অর্থনীতির অন্তর্গত গতি কিছুটা ইতিবাচক। প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেনসহ অন্যান্যরাও পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট মন্তব্য করেননি।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি রয়েছে এবং সাময়িকভাবে নিম্নমুখী হলেও ২০২৭ সালে এটি আবার ১.৯%-এ পৌঁছাবে — তাই সুদের হার আরও হার হ্রাসের সম্ভাবনা খুবই কম।

EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী এখন ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1650 লেভেলে পুনরুদ্ধারের দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। কেবল এই লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে পারলে 1.1680 লেভেল টেস্ট করার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেখান থেকে 1.1715 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে তা সম্ভব হবে শুধুমাত্র বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা থাকলে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে 1.1745 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে আমি মূল্য 1.1610 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য কার্যকলাপের প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানেও কেউ সক্রিয় না হয়, তবে 1.1570 এরিয়া রিটেস্ট বা 1.1530 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করাই যুক্তিসঙ্গত হবে।

GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে 1.3405 লেভেলের রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3450 লেভেলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে, যার ওপরে পৌঁছানোটা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3490। অন্যদিকে, দরপতন ঘটলে মূল্য 1.3365 রেঞ্জে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি মূল্য এই লেভেল ব্রেক করে, তাহলে সেটি বুলিশ পজিশনের ওপর বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং GBP/USD-এর মূল্য কমে 1.3325 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, যেখানে 1.3280 লেভেল পরবর্তী সাপোর্ট হিসেবে বিবেচিত হবে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account