logo

FX.co ★ ১৩ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

১৩ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

১৩ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

শুক্রবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শুরু হয়েছে, যা সামগ্রিক নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে চলমান রয়েছে। সহজভাবে বললে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান ইউরোর সাম্প্রতিক দরপতন হয়তো একটি বৃহৎ কারেকশনের অংশ অথবা শুধুই হায়ার টাইমফ্রেমে এক ধরনের সাইডওয়েজ কনসোলিডেশন।

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোর বর্তমান দরপতন বেশ অযৌক্তিক। একটানা আসতে থাকা মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের বিনিয়োগকারীদের শুধুমাত্র একটি পদক্ষেপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে—ডলার বিক্রি করা। তবুও দৈনিক টাইমফ্রেমে, মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের মধ্যে, মূলত মূল্যের মুভমেন্টের জন্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক প্রেক্ষাপটের ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না। মূল প্রশ্ন হলো: এই ফ্ল্যাট মুভমেন্ট কখন শেষ হবে?

ট্রেডারদের জন্য এখন প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত সম্ভাব্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার জন্য তৈরি থাকা এবং এটা স্বীকৃতি দেয়া যে ইউরোর দরপতন একেবারেই যৌক্তিকতার বিপরীতে হচ্ছে—এটি কোনো মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট দ্বারা সমর্থিত নয়।

শুক্রবার, একমাত্র অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হিসেবে ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স প্রকাশিত হয়েছে, যেটির ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক ছিল—তবুও ওই দিন ইতোমধ্যেই ডলার দরপতনের মধ্যে ছিল। মার্কেটের বর্তমান মুভমেন্টে কোনো স্পষ্ট যৌক্তিকতা নেই।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১৩ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবারের সেশনের অধিকাংশ সময় 1.1571–1.1584 রেঞ্জের মধ্যে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। যখন ট্রাম্প চীনের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তখন মার্কিন ডলার চাপের মুখে পড়ে; তবে এই পেয়ার বিক্রয়ের প্রবণতা সাময়িক ছিল।

নতুন ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করে থাকতে পারেন, যা—যদি স্টপ লস ব্রেকইভেনে সেট করা হয়ে থাকে—তাহলে সোমবার পর্যন্ত ওপেন রাখা যেত। আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ধারাবাহিক ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের আশা করছি।

সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হভে:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য একাধিকবার ট্রেন্ডলাইন অতিক্রম করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল, কিন্তু অজানা কারণে আবারো এই পেয়ারের দরপতন শুরু হয়েছে। আমরা এই ধরনের মুভমেন্টকে সম্পূর্ণরূপে অবাঞ্ছিত ও অযৌক্তিক বলে মনে করছি। মার্কিন ডলারের জন্য সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অত্যন্ত প্রতিকূল রয়ে গেছে এবং আমরা মার্কিন গ্রিনব্যাকের দীর্ঘমেয়াদী মূল্য বৃদ্ধির আশা করছি না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, আগের মতোই, ডলারের মূল্যের কেবলমাত্র টেকনিক্যাল কারেকশনের ওপর নির্ভর করা যেতে পারে—যার একটি আমরা এখন দেখছি।

সোমবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। বর্তমানে মার্কেটে যৌক্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে না ও প্রচুর অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। দীর্ঘমেয়াদি দরপতনের পর কারেকশনের সম্ভাবনা প্রবল, বিশেষত ট্রাম্প কর্তৃক নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর। তাই আমরা এই পেয়ারের মূল্যের আরেকটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের আশা করছি, অন্তত 1.1655–1.1666 এরিয়ার দিকে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে নিচের লেভেলগুলো পর্যবেক্ষণ করা উচিত: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, সেইসাথে কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, যার মানে হচ্ছে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি সীমিত থাকতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account