logo

FX.co ★ ক্রিস্টিন লাগার্ডে ২০২৬ সালে ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের আশা করছেন

ক্রিস্টিন লাগার্ডে ২০২৬ সালে ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের আশা করছেন

যখন বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য সংঘাতের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখছে, ঠিক তখনই ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে এক বিবৃতিতে জানান যে ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইতোমধ্যেই তাদের মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, এবং ২০২৬ সালে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

ক্রিস্টিন লাগার্ডে ২০২৬ সালে ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের আশা করছেন

লাগার্ডে বলেন, "মুদ্রাস্ফীতি এখনো আমাদের ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি রয়েছে।" তিনি আরও যোগ করেন, "মূল মূল্যস্ফীতির চাপ এখনও বিদ্যমান, এবং মজুরি বৃদ্ধির হার মন্থর হতে থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে।" ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় তিনি উল্লেখ করেন, উচ্চ শুল্ক, শক্তিশালী ইউরো এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার তীব্রতা ইউরোজোনের রপ্তানি খাতকে দুর্বল করেছে—যার ফলে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।

এই মন্তব্যগুলো এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইউরোজোনে মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। যদিও মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে, তবুও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে এখনও প্রবল প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। জ্বালানির উচ্চ মূল্য, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা—এই সবই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।

ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমানে এক ধরনের দ্বৈত চাপের মধ্যে রয়েছে: একদিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করতে হবে এবং অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ইসিবির নীতিনির্ধারকেরা বারবার মুদ্রাস্ফীতির ২%-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, তবে একইসাথে তারা স্বীকার করেছেন যে অতিরিক্ত কঠোর আর্থিক নীতিমালা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

এই প্রেক্ষাপটে ইউরোজোনের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি এখনো অনিশ্চিত। শীঘ্রই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম, বরং নতুন বাণিজ্য বিরোধ ইউরোপীয় অঞ্চলের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে আরও নেতিবাচক করতে পারে।

লাগার্ডে বলেন, "এই সকল প্রভাব আগামী বছর কমে আসবে বলে প্রত্যাশা করছি। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, পরিষেবা খাতে এখনো সম্প্রসারণ অব্যাহত রয়েছে—যা অর্থনীতির অভ্যন্তরে কিছু ইতিবাচক গতিপ্রবাহের ইঙ্গিত দেয়।"

ইসিবির বেশিরভাগ নীতিনির্ধারক, এমনকি লাগার্ডে নিজেও, সম্প্রতি সুদের হার কমিয়ে বর্তমান ২%-এর স্তরের নিচে নামানোর ক্ষেত্রে স্পষ্ট অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন—কারণ মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং ঝুঁকি গ্রহণের ভারসাম্যও তুলনামূলকভাবে মধ্যবর্তী অবস্থানে রয়েছে।

ECB প্রেসিডেন্ট লাগার্ডে বলেন, "আপনি যদি আমার মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস, ঝুঁকির ভারসাম্য ও মূল মুদ্রাস্ফীতির হার দেখেন—যেমনটা আমি বহুবার বলেছি—তাহলে বুঝবেন, আমরা ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছি।"

তিনি আরও একবার পুনর্ব্যক্ত করেন, ইসিবির নীতিগত অবস্থান হলো ভবিষ্যতের যেকোনো সিদ্ধান্ত আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে এবং আগাম কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়া হবে না।

বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র: EUR/USD

এই মুহূর্তে ক্রেতাদের মূল লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1630 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। এই লেভেল নিশ্চিতভাবে ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হলে পেয়ারটির মূল্য 1.1660 পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। সেখান থেকে 1.1690-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি হবে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডাররা সমর্থন ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। উর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হল 1.1720। যদি এই পেয়ারে মূল্য হ্রাস পায়, তবে মূল্য 1.1590 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় ক্রেতারা সক্রিয় হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে বড় কোনো ক্রেতা উপস্থিত না থাকে, তবে 1.1545-এর লেভেল টেস্ট করা পর্যন্ত অপেক্ষা করাই উচিত অথবা 1.1510 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করার চিন্তা করা যেতে পারে।

বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র: GBP/USD

পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম কাজ হবে 1.3360 লেভেলের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করানো। এই লেভেল নিশ্চিতভাবে ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হলে এই পেয়ারের মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3390। এই লেভেল অতিক্রম করলে পরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে, যদিও সেখানে পৌঁছানো মূল্যের পক্ষে কঠিন হবে। চূড়ান্ত ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3425-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে।
যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে বিক্রেতারা সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3330 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই লেভেল ব্রেকআউট করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3290-এর দিকে চলে যাবে, এবং সেখান থেকে মূল্য আরও কমে 1.3260 পর্যন্ত যেতে পারে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account