শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:
GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের অত্যন্ত হতাশাজনক ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে—যা ২০২৫ সালের প্রথমার্ধের সেই সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন মার্কেটে প্রতিদিনই উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং নির্দিষ্ট প্রবণতা দেখা যেত। মার্কিন প্রতিবেদনগুলোর একই ধরনের ফলাফল শুক্রবার মার্কেটে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, যেখানে GBP/USD পেয়ারে ডলারের দর মাত্র ২৫-৩০ পিপস বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে কার্যত কিছুই ছিল না, যার ফলে দিনের প্রথমার্ধে এই পেয়ারের মূল্য উলেখযোগ্যভাবে স্থিতিশীল ছিল। সামগ্রিকভাবে দেখলে, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনও সক্রিয় রয়েছে এবং নতুন ট্রেডাররা ভবিষ্যতেও আরও মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারেন। GBP/USD পেয়ারের জন্য প্রাথমিক সাপোর্ট এরিয়া হল 1.3319-1.3331 (আপডেটেড লেভেল), যেখান থেকে আজ এই পেয়ারের মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম শুরু হতে পারে। অবশ্যই, সোমবারে সাধারণত শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা বাস্তবসম্মত নয়, তবে মার্কেটের বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে ২০-৩০ পিপস লাভই একটি সন্তোষজনক ফলাফল হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। এই সপ্তাহে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যা মার্কেটে উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং আরও উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট সৃষ্টির প্রত্যাশা তৈরি করছে। ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি, ফলে স্বল্পমেয়াদী অনুসারে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও কিছুটা সময় ধরে চলমান থাকতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৫-মিনিটের টাইমফ্রেম লক্ষ্য করলে দেখা যায়, শুক্রবার 1.3319-1.3331 এরিয়া থেকে এই পেয়ারের মূল্য তিনবার বাউন্স করেছিল। প্রথম বাউন্স হয় রাতের প্রথমভাগেই। নতুন ট্রেডাররা এই স্পষ্ট ও সহজ সিগন্যালের ভিত্তিতে লং পজিশনে এন্ট্রি নিতে পারতেন, কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই পেয়ারের মূল্যের সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট মাত্র ২০ পিপসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো, দিনেরবেলা এই পেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যের কাছাকাছি সিগন্যালগুলো গঠিত হয়েছিল, অর্থাৎ ট্রেডাররা তুলনামূলকভাবে অনুকূল মূল্যে লং পজিশনে এন্ট্রি নিতে পেরেছিল। তবুও, এই সঠিক এন্ট্রির ফলেও বেশি মুনাফা করা সম্ভব হয়নি।
সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে আবারও স্থানীয় পর্যায়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হতে শুরু করেছে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্যমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধির পক্ষে কোনো শক্তিশালী মৌলিক ভিত্তি নেই, তাই আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতারই প্রত্যাশাই করছি। দৈনিক টাইমফ্রেমে যেহেতু কারেকশন/ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক মুভমেন্ট এখনও শেষ হয়নি, তা সত্ত্বেও ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে পরিলক্ষিত যেকোনো স্থানীয় প্রবণতা মূলত বৈশ্বিক পর্যায়ে একই প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত হিসেবেই বিবেচিত হতে পারে।
সোমবার নতুন ট্রেডাররা পুনরায় 1.3319-1.3331 এরিয়ায় ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। এই এরিয়া থেকে মূল্যের বাউন্স হলে মূল্যের 1.3413-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশনে এন্ট্রির সুযোগ তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়ার নিচে কনসলিডেট করে, তাহলে মূল্যের 1.3259-1.3267-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ পাওয়া যাবে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে প্রাসঙ্গিক লেভেলসমূহ হল: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3212, 1.3259-1.3267, 1.3319-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543 এবং 1.3574-1.3590। সোমবার যুক্তরাজ্য কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই সোমবার পরিপূর্ণভাবে "দুর্বল ট্রেডিংয়ের" সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। তবে পুরো সপ্তাহজুড়ে কিছু উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট রয়েছে, যেগুলো সামনে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বাড়াতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
