logo

FX.co ★ যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানোর বিষয়ে ফেডের সকল সদস্য একমত নন

যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানোর বিষয়ে ফেডের সকল সদস্য একমত নন

গত সপ্তাহের শেষদিকে শিকাগো ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অস্টান গুলসবি বলেন যে, তিনি ২০২৬ সালে তার সহকর্মীদের তুলনায় আরও বেশি মাত্রায় সুদের হার কমার অনুমান করছেন, তবে ডিসেম্বর মাসে সুদের হারে হ্রাসের সঙ্গে তিনি একমত নন। কারণ, তিনি মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য আরও অপেক্ষা করতে চান।

যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানোর বিষয়ে ফেডের সকল সদস্য একমত নন

শুক্রবার এক বিবৃতিতে গুলসবি বলেন, "আমি আগামী বছরের সুদের হারের বিষয়ে খুব বেশি হকিশ বা কঠোর অবস্থান নেব না। আমি তাদের একজন যারা মনে করে যে আগামী বছর সুদের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে।"

যদিও আপাতত বিচ্ছিন্ন বলেই মনে হলেও এই ধরণের মন্তব্য ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে পারে। বিনিয়োগকারীরা সাধারণত ফেডের ধারাবাহিক ও ঐক্যবদ্ধ ভাষার সঙ্গে অভ্যস্ত, আর এখন তাদের এই বাস্তবতা মেনে নিতে হচ্ছে যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরে মতপার্থক্য থাকতে পারে। এটি নিঃসন্দেহে ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, কারণ ট্রেডাররা সবসময় ঐক্যবদ্ধ নীতিকে স্থিতিশীলতা ও পূর্বানুমানযোগ্যতার প্রতীক হিসেবে দেখে।

যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও এই চিত্রকে প্রভাবিত করছে। বর্তমানে বেকারত্ব সংক্রান্ত সূচকগুলো মুদ্রাস্ফীতির চেয়েও বেশি নজরদারির দাবি জানাচ্ছে। যদিও ফেড বারবার বলছে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তথাপি ভোক্তা মূল্য সূচক প্রতিবেদনের ফলাফল বাড়তি মনোযোগ পাচ্ছে এবং প্রায়শই ফরেক্স মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।

মনে করিয়ে দিই, এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমবাজার ও মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, মার্কিন সরকারি অচলাবস্থার কারণে যেগুলোর প্রকাশনা দীর্ঘ সময় ধরে স্থগিত ছিল।

শিকাগো ফেডের প্রধান গুলসবির মন্তব্য তার "না" ভোটের ঠিক পরপরই এসেছে—গত বুধবার সুদের হার হ্রাসের বিপক্ষে ভোট দিয়ে তিনি ফেড প্রেসিডেন্ট হিসেবে (২০২৩ সাল থেকে) তার প্রথম প্রকাশ্য ভিন্নমত ব্যক্ত করেছে। এই ভিন্নমতের সাথে একমত হয়েছেন কানসাস সিটি ফেড প্রেসিডেন্ট জেফ স্মিড, যিনি অক্টোবরেও পূর্ববর্তী সুদের হার হ্রাসের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন এবং গত সপ্তাহেও আপত্তি জানিয়েছেন।

গুলসবি বলেন, "যেহেতু মুদ্রাস্ফীতি আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চার বছরের বেশি সময় ধরে উপরের দিকে রয়েছে এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি স্থগিত হয়েছে, আমি মনে করেছি যে আরও কিছু প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এবং ভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, এবং তাদের বেশিরভাগই মূল্যস্ফীতিকে প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন।"

ফিলাডেলফিয়া ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট আনা পলসন শুক্রবার আরও 'ডোভিশ বা নমনীয়' অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে শ্রমবাজারের দুর্বল পরিস্থিতি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি চিন্তিত করছে। এর বিপরীতে, ক্লিভল্যান্ড ফেড প্রেসিডেন্ট বেথ হ্যাম্যাক বলেন, তিনি কিছুটা কঠোর অবস্থানে রয়েছে, যাতে করে এখনও উচ্চ পর্যায়ে থাকা মুদ্রাস্ফীতির উপর আরও চাপ প্রয়োগ করা যায়।

গুলসবি তার বিবৃতিতে আরও জানান, অক্টোবরে ও নভেম্বরে ফেডারেল সরকারের অচলাবস্থার আগে পাওয়া মুদ্রাস্ফীতি তাকে স্বল্পমেয়াদে সুদের হার কমানোর বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক করে তুলেছে। গুলসবি বলেন, "প্রতিবেদনের প্রকাশনা বন্ধ হওয়ার আগে, কিছু সূচকের ফলাফল উদ্বেগজনক ছিল। সৌভাগ্যক্রমে, আগামী কয়েক মাসে আমরা এই ঝুঁকিগুলো নির্দেশ করে এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হাতে পাব, এবং আশা করছি এর ভিত্তিতে আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারব যে মুদ্রাস্ফীতি ধীরে ধীরে ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নেমে আসছে।"

EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1750 লেভেলে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। শুধুমাত্র এই লেভেলটি অতিক্রম করতে পারলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1780-এর লেভেলে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। এরপর 1.1820 পর্যন্ত মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকবে, তবে বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1855-এর লেভেল নির্ধারণ করা যেতে পারে। যদি এই ট্রেডিং ইনস্ট্রুমেন্টটির মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে আমি মূল্য 1.1715 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানেও কোনো ক্রেতা সক্রিয় না হয়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্য পুনরায় 1.1685-এর লেভেলে নেমে যেতে পারে অথবা 1.1650 থেকে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3375-এর নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স লেভেলে নিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ হবে। এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেল অতিক্রম হলেই মূল্যের 1.3405-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে, যা ব্রেকআউট করে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার খুব সহজ হবে না। দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3434 লেভেল নির্ধারণ করা যেতে পারে। যদি এই পেয়ারে মূল্য হ্রাস ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3340-এ ফিরিয়ে আনতে চাইবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জে নেমে আসার ফলে সেটি বুলিশ পজিশনের উপর গুরুতর ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য ধীরে ধীরে 1.3320 হয়ে সরাসরি 1.3285 লেভেলের দিকে নেমে যেতে পারে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account